বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারে বড় ফাটল, মোহরা অংশে গাড়ি চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের একটি পিলারে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিল এবার। এই ফাটল শনাক্ত করার পর দুর্ঘটনা এড়াতে ফ্লাইওভারের মোহরা অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতে এক পথচারী ফাটলটি দেখতে পেয়ে ফেসবুকে সেটি নিয়ে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্ট পুলিশের নজরে আসার পর তারা বহদ্দারহাট মদিনা হোটেলের সামনের ফ্লাইওভার পর্যবেক্ষণ করে একটি পিলারের ওপরের অংশে বড় একটি ফাটল শনাক্ত করে। সেখানে দেখা গেছে, র‌্যাম্প ও ফ্লাইওভারের সংযোগস্থলের কিছু নাট ঢিলে হয়ে গেছে। এর প্রভাবে র‌্যাম্প হালকা দেবে গেছে।

ঘটনা শনাক্ত করার পরপরই মোহরার অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। তবে শুলকবহর অংশে যানবাহন চলাচল সচল রয়েছে।

চান্দগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আশীষ কুমার পাল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাটলের ছবি দেখে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। নাট ঢিলে হয়ে ‎র‌্যাম্প দেবে যাওয়ায় যানচলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।’

তিনি জানান, সিএমপির পক্ষ থেকে ব্যারিকেডের পাশাপাশি দুজন ট্রাফিক সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে।

আশীষ কুমার পাল বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সিডিএকে বিষয়টি অবহিত করেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় বহদ্দারহাট এলাকায় বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের স্টিলের গার্ডার ধসে পড়ে ১৭ জন নিহত হন। গার্ডার তাদের ওপর সরাসরি পড়েছিল এবং তারা সবাই মারা যায়। অনেক অশনাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। তিনটি গার্ডার ফ্লাইওভার (ওভারপাস) থেকে পড়ে যাওয়ার ওই ঘটনায় আহত হন অন্তত ৫০ জন। অনেক মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়।

তার আগে একই বছরের ২৯ জুনও বহদ্দারহাটের ওই নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার থেকে ১৩০ ফুট দীর্ঘ কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়েছিল।

২০১৩ সালে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। ওই বছরের ১২ অক্টোবর এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!