বহদ্দারবাড়ির ৭ পদের খাবারে শুরু আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী সভা

আ জ ম নাছির সবার আগে, সুজন সবার শেষে

করোনা মহামারিতে দীর্ঘ অচলাবস্থার পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থীকে নিয়ে আবার সরব হল নগর আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রথম সভাটিই হল মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিমের বহদ্দারহাটের বাড়িতে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভাটি শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় ভোজসভায়।

মেয়রপ্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম বাহারি খাবারের আয়োজন নিয়ে তৈরি ছিলেন আগে থেকেই। শনিবার রাতের এই আয়োজনে সবার আগে হাজির হন সাবেক মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন— রাত সাড়ে আটটায়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন অবশ্য এসেছেন খানিকটা দেরিতে— প্রায় সবার শেষে। ছিলেনও আধঘন্টার মতো।

বহদ্দারবাড়ির ৭ পদের খাবারে শুরু আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী সভা 1

সভার শুরুতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুচ ছালাম, নগর কমিটির সহ-সভাপতি সুনীল সরকার, আবদুর রশিদ, পরিবেশ ও বনবিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান প্রমুখ। সবমিলিয়ে নগর আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা এ আয়োজনে অংশ নেন।

নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের এই সভা অবশ্য শেষপর্যন্ত পরিণত হয় ভোজসভায়। বহদ্দারবাড়ি নামে পরিচিত রেজাউল করিমের বহদ্দারহাটের বাড়ির সামনে সামিয়ানা টাঙিয়ে আয়োজন করা হয় খাবারের। নেতাদের সঙ্গে তাতে অংশ নেন কর্মীরাও। ছিল ভাতের সঙ্গে ৭ পদের খাবার। মেজবানের মাংসের সঙ্গে দেশি মুরগি যেমন ছিল, তেমনি সরিষা ইলিশের পাশাপাশি ছিল কোরাল মাছ। মুগডালের সঙ্গে ছিল আবার ছাগলের মাংসও। ডিম কারি তো ছিলই, এমনকি বাদ যায়নি সবজিও।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!