বসুন্ধরার চেয়ারম্যান-এমডিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হুইপ শামসুলের

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন পটিয়ার সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।

বুধবার (১৮ আগস্ট) পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

হুইপের পক্ষে এ মামলা রুজু করেন পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র এডভোকেট দীপক কুমার শীল।

মামলার বিবাদী করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজটুয়েন্টিফোরের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলীসান পত্রিকার সম্পাদক ইনামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার সাইদুর রহমান রিমন, রিয়াজ হায়দার, কালের কন্ঠের এস এম রানা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মোহাম্মদ সেলিম এবং বাংলানিউজের সম্পাদককে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার পুত্র সায়েম সোবহান আনভীর ব্যক্তিগত আক্রোশে ও শত্রুতামুলকভাবে বাদি ও তার পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে আসছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকা, অনলাইন ও টিভিতে ১০০টির বেশি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সামাজিক, রাজনৈতিক সম্মানহানী করেন, যাতে তাঁর শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

একাধারে মিথ্যা ও মানহানীকর সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্ষতিপুরন মামলা দায়ের করেন বলে জানান।

শারুন চৌধুরী তার ফেসবুকে জানান, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে তাদের বিবেক বাধা দিচ্ছে কারণ তারা মালিকের নির্দেশের বাইরে কিছুই করতে পারে না। কিন্তু এরকম সংঘবদ্ধ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। প্রেস কাউন্সিলেও তিনি অভিযোগ দায়ের করবেন।

তিনি আরও বলেন, মিডিয়া মালিকের ইচ্ছা ও ব্যক্তিগত শত্রুতার উদ্দেশ্যে সংবাদপত্রের ব্যাবহার বন্ধ হওয়া উচিত।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!