বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইকে উড়িয়ে ফাইনালে মুম্বাই

আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিনবার করে শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এবং চেন্নাই সুপার কিংসের। চলতি আসরে দুই দলেরই মিশন অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। সে মিশনে আপাতত প্রথম লাফটা দিল মুম্বাই।

কোয়ালিফায়ার-১ এর ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে মুম্বাই। তবে বাদ পড়েনি চেন্নাই। তারা অপেক্ষায় থাকবে এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার-২ ম্যাচটি খেলার।

ipl-mumbai champions

চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মাত্র ১৩১ রান করতে পেরেছিল স্বাগতিক দলটি। যা তাড়া করতে বেগ পেতে হয়নি মুম্বাইকে। সূর্যকুমার যাদবের অনবদ্য ফিফটিতে ৯ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ৪ এবং কুইন্টন ডি কক ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। তবে তৃতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন ইশান কিশান এবং সূর্যকুমার। যেখানে ইশানের অবদান মাত্র ২১ রান।

দলীয় ১০১ রানের মাথায় ইশান ফিরে যাওয়ার পরের বলেই সাজঘরের পথ ধরেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। তবে তার ছোট ভাই হার্দিক পান্ডিয়া ১১ বলে ১৩ রান করে যোগ্য সঙ্গ দেন ম্যাচসেরা সূর্যকুমারকে। শেষপর্যন্ত ১০ চারের মারে ৫৪ বলে ৭১ রান করেন সুর্যকুমার।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের। প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ৩২ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান তিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।

ফাফ ডু প্লেসিস ১১ বলে ৬, শেন ওয়াটসন ১৩ বলে ১০ এবং সুরেশ রায়না ৭ বলে ৫ রান করে আউট হলে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন রাইডু এবং মুরালি বিজয়।

দুজন মিলে পরবর্তী ৬ ওভারে যোগ করেন আরও ৩৩ রান। ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে ২৬ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। উইকেটে আসেন অধিনায়ক ধোনি।

পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রান যোগ করে দলের সংগ্রহটা ১৩১ রানে নিয়ে যান ধোনি এবং রাইডু। ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৭ বলে ৪২ রান করেন রাইডু। ধোনির ব্যাট থেকে আসে ৩ ছয়ের মারে ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!