‘বন্দুকযুদ্ধে’র ভয়ে মাদক ছেড়ে অজ্ঞান পার্টিতে মামা-ভাগ্নে

হানিফ আর জুয়েল সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত। দেশব্যাপী মাদকবিরোধী সাড়াশি অভিযানের যখন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা বাড়ছিল; তখনই মাদক ছেড়ে অজ্ঞান পার্টির খাতায় নাম লেখান তারা। তবে বেশ পাল্টিয়েও লাভ হয়নি তাদের। পুলিশের জালে ধরা পড়তেই হয়েছে এ মামা-ভাগ্নেকে।

রোববার (২১ জুলাই) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার দিদার মার্কেট এলাকা থেকে তাদের আটকের পর এ তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) পুলিশ।

আটকরা হলেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর এলাকার মৃত কাজেম আলির ছেলে হানিফ (৩৫) এবং নগরীর বাকলিয়া থানার আব্দুল লতিফ হাট এলাকার ওসমান গণির ছেলে জুয়েল (২০)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফররুখ আহমেদ মিনহাজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর চকবাজার থানাধীন দিদার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়েল ও হানিফকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক জুসের বোতল, চেতনানাশক ওষুধ ও মলম উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মামা-ভাগ্নে একসাথে মাদক ব্যবসা করতো। সম্প্রতি তারা অজ্ঞান পার্টিতে যোগ দিয়েছে। তারা নগরীর বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা করে আসছিল বেশ অনেকদিন ধরে। বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বেশ কয়েকটি মাদক মামলাও। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে একের পর এক মাদক ব্যাবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলে মাদক ব্যাসায় নেমে আসে মন্দাভাব। তাই বেঁচে থাকার তাগিদে মামা-ভাগিনা যোগ দিল অজ্ঞান পার্টিতে। কীভাবে মানুষকে অজ্ঞন করে হাতিয়ে নিতে হয় সর্বস্ব তার শিক্ষা গ্রহণ করে সম্প্রতি।

ঈদকে সামনে রেখে মাঠেও নেমে পড়েছিল মামা-ভাগিনা। তবে রোববার (২১ জুলাই) গভীর রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এইচটি/এডি