বন্দর-কাস্টমস আবার চলবে স্বাভাবিক নিয়মে

আগের সব সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেশের সব সমুদ্র বন্দর ও কাস্টমস হাউস আগের মতোই স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

বুধবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মেহেরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস হাউসকে জানানো হয়।

এর আগে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের কনটেইনার জট নিরসনে নতুন করে ৬ ধরনের পণ্য বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনারে ডিপোতে (অফডকে) সংরক্ষণের অনুমোদন দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে এতে বন্দরের কনটেইনার জট কমানোর সুবিধা তেমন একটা মিলবে না বলেই দাবি করে আসছিলেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বন্দরে ৪৯ হাজার কনটেইনারের জটের মধ্যে ৬ ধরনের আমদানি পণ্যের কনটেইনার খুব বেশি হবে না। অফডকগুলোতে সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি কনটেইনার নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ৬টি পণ্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় জট খুব একটা কমবে না। তবে যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটি মন্দের ভালো। বর্তমানে বহির্নোঙরে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে শুধু অপেক্ষমাণ কনটেইনার জাহাজই আছে ৩৭টি। যে ধীরগতিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে জেটিতে তাতে তিন সপ্তাহ লাগবে এ জাহাজগুলো বন্দর ছাড়তে।

এর মধ্যে বুধবার (২২ এপ্রিল) নতুন আদেশটি জারি করা হয়েছে। এতে আগের নিয়মেই চলবে বন্দর-কাস্টমস।

বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নুরুল কাইয়ুম খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের দাবি ছিল সব ধরণের পণ্যের কনটেইনার অফডকে রাখার অনুমতির। কিন্তু এখন বন্দর পুরোটাই চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) খায়রুল কবীর সুজন বলেন, বন্দরের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সরকার এটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু যে সুরক্ষা ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে, সেটি ঠিকমতো ব্যবহার করে বন্দর চালু রাখা হচ্ছে কিনা দেখার বিষয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার জিয়া উদ্দিন বলেন, এনবিআর থেকে জারি করা অফিস আদেশ আমরা পেয়েছি। কাস্টমস সাধারণ ছুটির সময় থেকে চালু আছে।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!