বন্দরে ফণীর রেশ, ৭২ ঘন্টার ঘানি টানতে লাগছে ১ হাজার ৮০০ ঘন্টা

ঘূর্ণিঝড় ফণী চলে গেছে এক সপ্তাহ আগে। ফণীর কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্টি হয়েছিল জাহাজজটের। ঘূর্ণিঝড়টি চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বন্দরে এখনও রয়ে গেছে এর প্রভাব। যার রেশ কাটতে বন্দর কর্তৃপক্ষের সময় লাগবে আড়াই মাস।

টানা তিনদিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ থাকার কারণে জাহাজ ও কন্টেইনারসহ যে জটের সৃষ্টি হয়েছে তা স্বাভাবিক হতে লাগবে ১ হাজার ৮০০ ঘণ্টা বা আড়াই মাস। এ সংকট কাটাতে চট্টগ্রাম বন্দরের কাজ রাতদিন চলমান রাখার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে চার ধাপের পরিকল্পনা।

চট্টগ্রাম বন্দরের উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফরিদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী আতঙ্কে চট্টগ্রাম বন্দর ৭২ ঘন্টা বন্ধ ছিল। সে সময় জেটিতে ২৮টি জাহাজ ছিল। সেগুলোর অপারেশনাল কাজ বন্ধ ছিল ৩ দিন। এছাড়া জেটিতে আসার অপেক্ষায় থাকা ২৮টি জাহাজও তিনদিন বসে ছিল। ওই তিন দিনে বন্দরমুখী এবং বর্হিমুখী ৮৪টি জাহাজের চলাচল হয়নি। সে হিসেবে এক দিনে চলাচল হয়নি ২৫২টি জাহাজের। এই জটটি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও আড়াই মাস।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ২ থেকে ৪ মে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কাজ বন্ধ থাকার পর যখন পুনরায় শুরু হয় সেই থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলছে সকল কার্যক্রম। বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ কমিয়ে আনা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বলেন, বন্দরের জট কমাতে চারটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘন্টা পণ্য উঠানামাসহ সকল অপারেশনাল কাজ চলমান রাখা, বিরতির সময় কমিয়ে আনা, মনিটরিং কমিটি গঠন এবং সিএমপির নির্দেশনা অনুসারে বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বড় ট্রেইলর সড়কে নিরবিচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করা।

এনামুল করিম আরও বলেন, বন্দরে পণ্য ওঠানামার ক্ষেত্রে ইফতারির সময় একঘন্টা, সেহরির সময় একঘন্টা এবং রাতের খাবারের জন্য আধঘন্টা সময় বরাদ্দ ছিল। সেটি কমিয়ে এখন সবমিলিয়ে করা হয়েছে একঘন্টা।

চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হার্বার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আতাউল এইচ সিদ্দিকী বলেন, জট সারাতে বন্দরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!