বনের কাঠ পুড়িয়ে ইট বানাতো চার ভাটা, গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

পরিবেশ আইনের ধার ধারছিল না চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চার ইট ভাটা মালিক। বন উজাড় করছিল তারা ইট পোড়াতে। ধোঁয়ায় ভারী হয়ে উঠেছে ওই এলাকার পরিবেশ। এসব ইট ভাটার দাপুটে মালিকরা সবার চোখে ধুলো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছিল তাদের এ অবৈধ ব্যবসা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। জেলা প্রশাসন ও
পরিবেশ অধিদফতরের অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেয় এই ইট ভাটাগুলো।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ,পশ্চিম কলাউজান ও চুনতি এলাকায় অনুমোদনহীন চার ইট ভাটা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন না নিয়েই এসব ইট ভাটা পরিচালিত হচ্ছিল। বন উজাড় করে কাঠ কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করে ইট তৈরি করছিল তারা। তাই তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।

উচ্ছেদ হওয়া ইট ভাটাগুলো হল, অমিরাবাদের বিএবি ব্রিকস, পশ্চিম কলাউজান কেএসবি ব্রিকস ও পিএসবি ব্রিকস, চুনতি এলাকার সিবিএম।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসেনর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমার ফারুক বলেন, ‘উচ্ছেদ করা ভাটাগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের ক্ষতি করে চালিয়ে আসছিল। অভিযান চালিয়ে ইট ভাটাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

এর আগে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইট ভাটা বন্ধে গত ১৪ ডিসেম্বর সাত দিনের সময় দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় বৈধ ইটাভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার ও কৃষিজমি বা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে হাইকোর্টের এ আদেশে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত ২৯ নভেম্বর দায়ের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!