বনফুল-কিষোয়ান ৩ কোটি টাকার ভ্যাট মেরে দিয়ে মামলায় ফেঁসেছে

৩ কোটি টাকার ভ্যাট মেরে দিয়ে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বনফুল এন্ড কোম্পানি ও কিষোয়ান স্ন্যাকস পড়েছে ভ্যাট গোয়েন্দার মামলার জালে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয় কোটি টাকারও বেশি বিক্রির তথ্য গোপনের তথ্য উদঘাটন করেছে সরকারি সংস্থাটি।

ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বনফুল এন্ড কোম্পানি ও কিষোয়ান স্ন্যাকসের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বনফুল ও কিষোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের একটি টিম বনফুল এন্ড কোম্পানি ও কিষোয়ান স্ন্যাকসের কুমিল্লার দুটি কার্যালয়ে অভিযান চালায়। দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে ওই টিম ভ্যাট ফাঁকির আলামত হিসেবে বিক্রয় চালান ও বিক্রয় রেজিস্টারসহ কয়েকটি কম্পিউটার জব্দ করে।

ভ্যাট গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বনফুল এন্ড কোম্পানি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের হিসাব বিবরণীতে বিক্রির পরিমাণ দেখা গেছে ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৬৫৪ টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ওই শাখায় কৌশলে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২৯ টাকার পণ্য বিক্রির তথ্য গোপন করা হয়েছে। এই বিক্রির ওপর ভ্যাট এসেছে ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬০ টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ হিসেবে প্রাপ্য আরও ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৬ টাকা।

অন্যদিকে কিষোয়ান স্ন্যাকস ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ কোটি ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৪ টাকার পণ্য বিক্রির তথ্য গোপন করেছে।এই বিক্রির ওপর ভ্যাট এসেছে ১ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৬ টাকা। এর বাইরে সুদ হিসেবে প্রাপ্য আরও ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৭ টাকা।

সবমিলিয়ে বনফুল ও কিষোয়ানের বিরুদ্ধে মোট ৯ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৩ টাকার পণ্য বিক্রির তথ্য গোপন করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। এ বাবদ প্রতিষ্ঠান দুটির ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ ৩ কোটি ৩ লাখ টাকারও বেশি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!