বদলি-অস্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন

বদলি-অস্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পাটকল চালুর দাবিতে আন্দোলন করেছেন চট্টগ্রামের পাঠকল শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) শ্রমিক কৃষক ছাত্র জনতা ঐক্যের ডাকে পূর্বঘোষিত কর্মসুচি হিসেবে আমিন জুট মিলের শ্রমিকরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।

শ্রমিক কৃষক ছাত্র জনতা ঐক্যের আহবায়ক এডভোকেট আমির আব্বাস সভাপতিত্বে ও বদলি শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মোহাম্মদ তানসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণমুক্তি ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি রাজা মিয়া, সাম্যবাদী আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা নেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস, শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব কামাল উদ্দিন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক শাহ মোহাম্মদ শিহাব, বদলি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি বেলাল হোসেন, শ্রমিক নেতা মো. হানিফ, আনোয়ার হোসেন, সুমি আক্তার, রহিমা বেগমসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলের বন্ধ করার সময় দুই মাসের মধ্যে সকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে মিলগুলোকে আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করার ঘোষণা দেয় সরকার।

বদলি ও অস্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ এখনো শুরুই করা হয়নি। কবে নাগাদ পরিশোধ করা হবে তার সুনির্দিষ্ট সময় জানাতে ব্যর্থ বিজেএমসি ও পাটমন্ত্রী।

বদলি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, একবছরে বদলি শ্রমিকেরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। এদের অধিকাংশ বেকার, যারা বাসা ভাড়া যোগাড় করতে পারছে না, না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় অর্থাভাবে মৃত্যুবরণ করছে। তাদের সন্তানদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত। চরম হতাশায় এই শ্রমিকেরা দিন পার করছে।

এদিকে, পাটকল চালুসহ পাওনা পরিশোধের দাবিতে গত একবছর ধরে মানববন্ধন, শ্রমিক সমাবেশ, বিজেএমসি কার্যালয় ঘেরাওসহ আমরা বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছে শ্রমিকরা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কাদের দোষে, কি কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানি হলো তা বের করার জন্য সরকার কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সরকার বন্ধের সময় ঘোষণা করেছিল, আধুনিকায়ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাটকল চালু করা হবে। ইতোমধ্যে পত্রিকা মারফত আমরা জেনেছি যে, বিজেএমসিকে তদারকি সংস্থায় রূপান্তর করে, পাটকলগুলো ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন সরকারের শ্বেতহস্তীর মতো পুষতে হবে; অন্যদিকে মিলগুলো বেসরকারি মালিকদের লুন্ঠনের জায়গায় পরিণত হবে। তাই বেসরকারিকরণ নয়, বরং দেশের বিশেষজ্ঞ, শ্রমিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে সুষ্ঠুনীতি প্রণয়ন করে পাটকল চালু করতে হবে।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে নেতৃবৃন্দ জানান, ২৮ জুন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ ও ৩০ জুন ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!