বজ্রপাতে কক্সবাজারে কৃষকসহ ৩ জনের মৃত্যু

পৃথক বজ্রপাতে কক্সবাজারে কৃষকসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কুতুবদিয়ায় দুজন ও পেকুয়ায় একজন মারা গেছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।

রোববার (১৯ জুন) দুপুরে কুতুবদিয়ার উপজেলার উত্তর ধুরুং চুল্লার পাড়া ও পেকুয়ার আব্দুল্লাহ পাড়ার ভোলা খালে তাদের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন, কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং চুল্লার পাড়া এলাকার জাকের উল্লাহর ছেলে ইমতিয়াজ (২৫) ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ধুরুং কাঁচা গ্রামের ছাবের আহমদের ছেলে করিম (৩৫)। অপরজন পেকুয়া উপজেলার আব্দুল্লাহ পাড়ার আলী আহমদ (৫০)। এসময় নিহত ইমতিয়াজের ভাই মো.আক্কাস গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ চৌধুরী বলেন, দুপুরের দিকে শরতঘোনা এলাকায় মাঠে চাষের কাজ করছিলেন কৃষক মো.আলী। এসময় প্রচন্ড বৃষ্টি ও সাথে বজ্রপাত হচ্ছিল। এতে বজ্রপাতের আঘাতে মো. আলী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পেকুয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

পেকুয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই মো. মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ নিহত কৃষক মো. আলীর লাশ উদ্ধার করেছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তুমুল বৃষ্টি ও বজ্রপাতের মধ্যে ধুরুং ইউনিয়নের চুল্লার পাড়া এলাকায় ইমতিয়াজ ও মো.করিম মাছ ধরার নৌকা মেরামতের কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাতের আঘাতে ইমতিয়াজ ও করিম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!