বঙ্গোপসাগরে লাইটার জাহাজ ডুবি : ১১ নাবিক উদ্ধার : নিখোঁজ এক

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ১০-১২ মাইল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের পানি ঢুকে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। খুলনা থেকে এক হাজার টন গম নিয়ে কর্ণফুলী ঘাটের দিকে আসার সময় সোমবার রাতে এ লাইটার জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।

ওই জাহাজে চালকসহ ১২ জনের মধ্যে ১ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

ship_down_24409_1473149229

 

দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মো. ইয়াকুব বলেন, ‘খুলনা থেকে এক হাজার টন ছাই নিয়ে কর্ণফুলী ঘাটের দিকে যাচ্ছিল লাইটার জাহাজ এমভি বর্ষণ-৩। সন্দ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের মুখে পড়ি। এ সময় জাহাজ কাত হয়ে পানি ঢুকে পড়ে।

 

একটু পর নিচের অংশ ফেটে যায়। তখন ভাটা থাকায় জাহাজ পুরোপুরি ডোবেনি। সবাই জাহাজের ডেকে এসে আশ্রয় নিই। তবে জোয়ারের সময় পুরো জাহাজ ডুবে যায়। তখন সাগরে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। আশপাশে কোনো জাহাজ না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ উদ্ধারও করতে পারেনি। জোয়ার থাকায় স্রোতের টানে উপকূলের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল আমাদের। একেকজন দূরে সরে যায়। ভোর ছয়টার দিকে হাসানসহ আমরা দুজন তীরের দিকে আসি।’

 

এ ঘটনায় লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের জানান, সোমবার রাত নয়টার দিকে প্রচণ্ড ঢেউয়ে তলানি ফেটে পানি ঢুকে যায় জাহাজটিতে। এতে ডুবতে শুরু করে লাইটার জাহাজ এমভি বর্ষণ-৩। এক ঘণ্টা পর জোয়ারে জাহাজের ওপরের অংশও ডুবে যায়।

তিনি জানান, জাহাজে থাকা ১২ জনের মধ্যে ১ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাকি ১১ জন সন্দ্বীপ উপজেলার মগধারা গ্রামে আছেন। জীবিতরা জোয়ারের ঢেউয়ে উপকূলীয় স্থানে ভেসে এসেছেন। দুর্ঘটনার পর কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

রিপোর্ট : সুমন কুমার দে

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

 

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!