বঙ্গোপসাগরে মারামারি, বোট ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিন জেলের খোঁজ মিলছে না

গভীর সাগরে মারামারির জের ধরে ফিশিং বোট ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এখনও খোঁজ মেলেনি তিন জেলের। ঘটনার পর অন্য ফিশিং বোটের জেলেরা এগিয়ে এসে ৩২ জন জেলেকে উদ্ধার করে।

বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল ও কক্সবাজার চ্যানেলের মধ্যবর্তী স্থানে মাছ ধরার জাল বসানো নিয়ে বিরোধে মারামারি ও ফিশিং বোট ডুবিয়ে দেওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৪ অক্টোবর) সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও ঘটনা জানাজানি হয় বিকেল চারটার দিকে।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে বাঁশখালী উপকূলে ফিরে আসা কয়েকজন জেলে বলেন, বাঁশখালীর ডেপুটিঘোনা এলাকার মো. ছগীরের শানে মদিনা নামের ১০৫ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন ফিশিং বোটটির ৩৫ জন জেলে কুতুবদিয়া চ্যানেল ও কক্সবাজার চ্যানেলের মধ্যবর্তী স্থানে মাছ ধরার জন্য তাদের জালটি বঙ্গোসাগরে বসায়। ওই সময় জাকের মাঝি নামের এক ব্যক্তির ২৭৫ অশ্বক্ষমতা সম্পন্ন ফিশিং বোটের জেলেরা হঠাৎ তাদের ওপর চড়াও হয়। তাদের জায়গায় কেন জাল বসিয়েছে— এমন বলে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. ছগিরের ফিশিং বোটটিতে ধাক্কা দিয়ে একপর্যায়ে সেটি ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, প্রচণ্ড গতির ওই ধাক্কায় গভীর সাগরে ৩৫ জন জেলে ডুবে যায়। পাশে মাছ ধরার অন্যান্য ফিশিং বোটের জেলেরা দুই ফিশিং বোটের ধাক্কাধাক্কির ঘটনাটি দেখে ডুবে যাওয়া জেলেদের মধ্যে ৩২ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও রোববার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারেনি।

জানা গেছে, নিখোঁজ ওই ৩ জন জেলে ফিশিং বোটের বরফের চেম্বারে ছিলেন। তাই তারা ডুবে যাওয়া বোট থেকে বের হতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বাঁশখালীর বাংলাবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর কাশেম বলেন, ‘ফিশিং বোট ডুবির ঘটনায় ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৩২ জনকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা। অথচ কোস্টগার্ড সেখানে কোনো উদ্ধার কাজই চালায়নি।’

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘গভীর বঙ্গোপসাগরে ঘটা ফিশিং বোট ডুবির বিস্তারিত তথ্য জানি না। তবে ফিশিং বোটের মালিকরা জানিয়েছেন ৪ জন জেলে নিখোঁজ। বাকিরা অন্যান্য জেলেদের সহযোগিতায় উপকূলে ফিরেছে। সঠিক তথ্য জানতে চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!