বঙ্গবন্ধু টানেল অর্থনীতির গতি বাড়ানোর সহায়ক হবে – প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে। এই টানেল নির্মিত হওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দেশের এই প্রথম টানেল নির্মাণ করা হয়। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এই মেগা প্রকল্প।

টানেলের ভেতরে ফায়ার ফাইটিং, লাইটিং ও কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার কাজ এখনও চলমান রয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রকল্পের গাড়িও চালানো হচ্ছে। নদীর তলদেশে হওয়ায় যেকোনও সময় পানি জমতে পারে আশঙ্কায় টানেলের মধ্যে বসানো হচ্ছে ৫২টি সেচ পাম্প।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে নদীর তলদেশে স্থাপন করা হয়েছে দুটি টিউব। একটি টিউবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে তাৎক্ষনিক বিকল্প পথে গাড়ি চালানো যায়, সেটিরও কাজ এখনও চলমান রয়েছে।

এছাড়া টানেলে বাতি ও পাম্প স্থাপন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরির কাজও সমানতালে চলছে। নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, ৭৭২ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার। কর্ণফুলীর দক্ষিণ প্রান্তে আনোয়ারা অংশে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজও নির্মাণাধীন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন।

এরপর বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখের চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

এদিকে টানেল প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী নদীর তলদেশে কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের বরাদ্দ ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। টানেলটি নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। ২০২২ সালে আগামি ডিসেম্বরে এটির উদ্বোধনের কথা থাকলেও টানেলের অভ্যন্তরে ও বাহিরে কাজ অসমাপ্ত থাকার কারণে উদ্বোধনের সময় আরও বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে টানেলটি পুরোপুরো উন্মুক্ত করা হবে।

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!