বঙ্গবন্ধুর সাথে গণমাধ্যমের সম্পর্ক ছিল নিবিড়

বঙ্গবন্ধুর সাথে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে একটি মিথ্যচার চর্চিত হয় যে, তিনি বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের লাগাম টেনে ধরেছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ১৯৭১ সালের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চর্চার অবাধ সুযোগ দিয়েছিলেন। এই সুযোগ বেশ নেতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়েছিল তৎকালীন সংবাদপত্রগুলো।

রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চবি সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, একটি মহল পাকিস্তানের মদদপুষ্ট হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবাদের নামে জঘন্য মিথ্যাচার করে বেড়াতো। গণমাধ্যমের যে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার কথা ছিল, সেটা তখনকার সংবাদপত্রগুলো রাখতে পারেনি। মূলত তাদের লাগাম টেনে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু কিছু সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।

ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, আমন্ত্রিত অতিথি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া ও আলোচক হিসেবে বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্নার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ সভাপতি নাজমুস সায়াদাত, যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজ তুহিন ও সদস্য মাববুর এ রহমান।

এমআইটি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!