বঙ্গবন্ধুর খুনী মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঘাতক আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনার পর হলে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

প্রসংগত, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে এখনো ৫জন বিদেশে পলাতক আছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই খুনিরা হলো কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ও লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী।

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন। এদিন দুপুরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও মামলার রায় পড়ে শোনান বিচারক। এরপর বিচারক তার ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেন।

ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছন। মৃত্যু পরোয়ানা জারি হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর এই খুনির মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার আবেদন করার সুযোগ ছাড়া ছাড়া আর কোন আনুষ্ঠানিকতা বাকি নেই।

বঙ্গবন্ধুর খুনী মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা 1
ঘাতক মাজেদ

এর আগে দীর্ঘদিন পালাতক থাকার পর গত ৭ এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন ঘাতক মাজেদ। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ‘নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে তিনি দায়িত্বে ছিলেন। রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে গাবতলী বাস স্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে সন্দেহজনকভাবে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তিকে থামান। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে সে নিজের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। ওই সময় সে বলে, সে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। জিজ্ঞাসাবাদে মাজেদ স্বীকার করে, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে ছিল।’

ধরা পড়া এড়াতে আবদুল মাজেদ তার চেহারাও পরিবর্তন করেছিল বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মভাবে সপরিবারে নিহত হন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পরই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিলে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর অন্য ৫ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলো লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।

এরআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!