বঙ্গবন্ধুকে ‘কটুক্তি’র সেই মামলা খারিজ করল চট্টগ্রামের আদালত

মামলা চালাতে বাদীর অনীহা

বঙ্গবন্ধুকে ‘কটুক্তি’র অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নালিশি মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত।

রোববার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজা এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন করেছেন বাদী নাজিম উদ্দীন সুজন। সুজন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

বাদীর আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বাদী মামলা চালাতে অনীহা প্রকাশ করেছেন, তাই মামলাটি ‘নট প্রেস’ করা হয়েছে।

এদিকে বাদী নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার যে আবেদন করেছিলাম তাতে কিছু তথ্যগত ভুল আছে। এই তথ্যগত ভুলের কারণে মামলাটার কার্যক্রম স্থগিত করার আবেদন করেছি আমরা। আদালত আবেদনটা মঞ্জুর করেন।’

এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তির অভিযোগে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেন। আদালত রোববার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

মামলার তালিকাভুক্ত বাকী দুজন হলেন বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ এবং প্রাবন্ধিক নেছার আহমেদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নেছার আহমেদের সম্পাদনায় ‘জাতির পিতা’ নামে চট্টগ্রাম একাডেমি থেকে একটি পুস্তক প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের ১৮ পৃষ্ঠায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি প্রবন্ধে (শেখ মুজিবের গোপন শত্রু) লিখেছেন, ‘একাত্তরের আগের শেখ মুজিব আর পরের শেখ মুজিব এক নন, বড়ই সত্য কথা।’ আরেক লাইনে লেখা হয়, ‘নৈতিক পতনই তার দৈহিক পতন ডেকে আনে।’ এই লেখার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করা হয়েছে। বিষয়টি আমার নজরে আসার পর সচেতন নাগরিক হিসেবে আদালতের ধারস্থ হয়েছি।’

আদালত সূত্রে জানা যায় মামলায় নেছার আহমেদকে ১ নম্বর, রাশেদ রউফকে ২ নম্বর এবং অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছিল।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রবন্ধ লেখক, নেছার আহমেদ পুস্তকটির সম্পাদক এবং রাশেদ রউফ প্রকাশনা উপদেষ্টা হওয়ায় তাদের বিবাদী করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ওই মামলার বাদী নাজিম উদ্দীন সুজন।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!