বই উপহার পেলো ৯৩ স্কুলের ৫ হাজার ১২৫ জন শিক্ষার্থী

মোমবাতির আলো জ্বলতেই বেজে উঠে ‘আগুনের পরশ মণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সুর। সকলের কন্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘এ জীবন পুণ্য কর দহন-দানে’। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত স্কুল শিক্ষার্থীদের বইপড়া কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে নগরীর ৯৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ১২৫ শিক্ষার্থীকে বই পড়ার জন্য পুরস্কার দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

শুক্রবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ পুরস্কার বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় দুই পর্বে চার বিভাগে পুরষ্কার পেয়েছে এ সকল শিক্ষার্থীরা।

স্বাগত, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরা পাঠক পুরস্কার বিভাগের প্রথম পর্বে ৪৬টি স্কুলের ২ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় পর্বে ৪৭টি স্কুলের ২ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। এরমধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ২ হাজার ৫০২ জন। শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১ হাজার ৫১৩ জন। অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৮৮১ জন এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ২২৯ জন। এছাড়া সেরা পাঠক পুরস্কার বিজয়ী ২২৯ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ২৩ জনকে দেওয়া হয় ২ হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার। আবার লটারির মাধ্যমে ৪ জন অভিভাবককেও একই ধরনের বিশেষ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমনের সঞ্চালনায় এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলী নকী, কথা সাহিত্যিক ও গবেষক খন্দকার স্বপন শাহরিয়ার, চসিকের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার সাসটেইনেবিলিটি ফারজানা রহমান, সার্কেল বিজনেস হেড মোহাম্মদ শরীফ মাহমুদ খান, মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুল হক, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম।

বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘মুজিববর্ষে এ পুরস্কার বিতরণ একটা মাইলফলক। শুধু একাডেমিক বই পড়লে চলবে না এর পাশাপাশি সাহিত্যের অন্যান্য শাখার বইও পড়তে হবে। কারণ বই পড়লে আলোকিত মানুষ হওয়া যায়। বইয়ের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হবে। যাতে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়।’

এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!