ফোন করলেই মিলবে ছাত্রলীগের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স

নতুন বছরের শুরুতেই আর্থিক সংকটাপন্ন মুমূর্ষু রোগীদের বহনের জন্য বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বান্দরবানবাসীর সেবায় চালু হয়েছে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বান্দরবান জেলা পরিষদ ভবনের অরুন সারকি টাউন হল রুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা পরিষদের কাছে অ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করা হয়।

বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগের সভাপতিত্বে ও বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীলের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক উসিং হাই রবিন বাহাদুর প্রমুখ।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের বান্দরবানে অনেক গরীব মানুষ আছেন যারা আর্থিক অভাবের কারণে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল নিয়ে যেতে পারে না। এসব অসহায় মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। কারো যেন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু না হয়।

তিনি বলেন, গত কিছু দিন আগে আমাদের ছাত্রলীগ কর্মী এক ছোট ভাইয়ের বাচ্চা অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যেতে না পারাই বাচ্চাটির মৃত্যু হয়। তারপর থেকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উদ্যোগটি নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, পার্বত্য বান্দরবান জেলার গরীব অসহায় মুমূর্ষু কোনো রোগী আর্থিক সংকটের অভাবে সু-চিকিৎসা থেকে বঞ্চিতা এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পেয়ে কোনো রোগী যেন অবহেলায় মৃত্যু না হয়। সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আমাদের অর্থায়নে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি অ্যাম্বুলেন্স জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেছি। যারা আর্থিকঅভাবে অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে পারছে না তারা মুহূর্তের মধ্যে ফ্রিতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেয়ে থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্সটি আজকে জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেছি। দুয়েকদিনের মধ্যে একটি হটলাইন নম্বর চালু করবো। কারো অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হলে ওই হটলাইন নম্বরে ফোন করলে সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্স নির্দিষ্টস্থানে পৌঁছে যাবে।

এএন/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!