ফেসবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে সাহেদ নামে এক যুবকের বন্ধুত্ব হয় চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ্ থানার বাসিন্দা কলেজ পড়ুয়া জ্যোৎস্নার (ছদ্মনাম)। দীর্ঘদিনের সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। অতঃপর সাহেদের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বিয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় জ্যোৎস্না। পালিয়ে বিয়ে করার শর্তে সাহেদের হাত ধরে ঘর থেকে নিরুদ্দেশ হয় সে। কিন্তু কাজী অফিসে আর যাওয়া হলো না তার। কনে সাজার বদলে অপহরণের শিকার হন জ্যোৎস্না।
সোমবার (৩১ মে) ভোরে ঢাকার গাবতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে বিয়ের নাম দিয়ে অপহরণ করা প্রেমিক সাইদুল ইসলাম সোহেলকে আটক করেছে আকবরশাহ্ থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জ্যোৎস্নাকে সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত মিথ্যা প্রেমের জালে বন্দি করে জ্যোৎস্নাকে নগরীর কর্নেলহাট এলাকা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকার একটি হোটেলে জিম্মি করে রাখে এবং তার পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে।
এ বিষয়ে আকবরশাহ্ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, রোববার (৩০ মে) কলেজে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার নাম দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হন জ্যোৎস্না। পরে প্রেমিক সোহেল জ্যোৎস্না পরিবারকে ফোন করে তাদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রেমিকার পরিবারের কাছে। এরকম একটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা অপারেশান শুরু করি।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অপহরণকারীকে আটকের জন্য আমরা একযোগে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন থানাতে অভিযান চালাতে থাকি। সোমবার ভোররাতে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে অপহরকারী সোহেলকে আটক করে অপহৃত জ্যোৎস্নাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করা হবে বলে।
বিএস/এসএ