ফেসবুকে কখনই যা করবেন না : করলে ফাঁদে পড়তে পারেন

‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ কথাটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। অথবা ‘ভালো থাকতে ভূতে কিলায়’ এসব কথা মনে করিয়ে দেয়ার একটাই লক্ষ্য এ প্রবাদগুলো অনেকেই বিশ্বাস করেন না। কিন্তু বিপদ যখন দুয়ারে এসে দাঁড়ায় তখন হয়তো একথাগুলো মহাবাক্যের মতো মনে হয়।

 

সাইবার ক্রাইমের ফাঁদ পাতা ফেসবুকে। ঘন ঘন স্ট্যাটাস আপডেট আর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আপনি অনায়াসে গ্রহণ করছেন। আর গ্রহণ করার সময় আপনি নিজের অজান্তেই ফেক অ্যাকাউন্ট, হ্যাকিংয়ের ফাঁদে পড়তে520dffd0ecbcd-facebook-makes-you-sad পারেন।

ফেসবুক জনপ্রিয় একটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যদি আপনি তা ভালোভাবে অপারেট করতে পারেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য এখানে তুলে ধরছি যা করলে আপনাকে পড়তে হবে বিপদে। আপনার ফেসবুকটি সুরক্ষিত থাক এটাই কাম্য..

জেনে নিন সেই মন্তব্য :

প্রথম : কেউ কেউ খুব আগ্রেহের সাথে মনের আনন্দে নিজের ঠিকানা ফেসবুকে দিয়ে দেন। এটা কখনো ঠিক নয়। ভুলেও ফেসবুকে কখনও বাড়ির ঠিকানা দেবেন না। কারণ এতে বিপদ হতে পারে, অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে।

দুই : আর ফেসবুকে নিজের পাসওয়ার্ড অন্যবে দেয়া বা বলা আরো বিপজ্জনক। যদি সে আপনার ঘনিষ্ঠ কোনও বন্ধুও হয়, তবু তাকেও বলবেন না। কারণ সেই বন্ধু অজান্তে অন্যকে দিয়ে দিতে পারে। অথবা সেই বন্ধু হঠাৎই কোন কারণে আপনার শত্রু হয়ে যেতে পারে। তখন হয়তো এটিকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

তিন : একান্ত গোপন কথা যা প্রকাশ করা যায় না-তা প্রকাশ করা উচিত নয়। পার্সোনাল মেসেজ বা চ্যাটেও এড়িয়ে চলুন ব্যক্তিগত কথা।  অথবা, আপনি এই মুহূর্তে কোথায় আছেন, কার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক রয়েছে তাঁর নাম, রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস ফেসবুকে দেবেন না। সমস্যায় পরতে পারেন।

চার : ভুলভাল ছবি, ব্যক্তিগত ছবি, ঘনিষ্ঠ ছবি ফেসবুকে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবেন। এগুলো শেয়ার করবেন না। কাউকে চ্যাটেও পাঠাবেন না। ছবি বিকৃত করে ঘটতে পারে মারাত্মক ঘটনা।

পাঁচ : আরে ভাই জন্মদিনের তারিখটা কী দরকার অন্যকে দেয়ার? এটাও সমস্যা হতে পারে, হতে পারে বিপদ। এগুলো এড়িয়ে চলুন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অফিসের বসকে কিংবা সহকর্মী/বন্ধুদেরকে হেয় করে কোনও মন্তব্য বা স্ট্যাটাস দিবেন না
অফিসের বসকে হেয় করে কথা বলা সব সময়ই খুব ঝুকিপূর্ণ। ফেসবুকে আমরা অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ইমোশনাল হয়ে মন্তব্য বা স্ট্যাটাস লিখে ফেলি। কিন্তু সেই মন্তব্য বা স্ট্যাটাসের কারণে আপনাকে সেই অফিস থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে বাসায় চলে আসা লাগতে পারে; এবং সেটা অন্যান্য সহকর্মীদের সামনে দিয়েই।

আপনার যখন একটি কাজে ব্যস্ত থাকার কথা, তখন আপনি সেই কাজটিকে সমালোচনা করে মন্তব্য বা স্ট্যাটাস দেয়াটা খুবই খারাপ একটি বিষয়। ধরুন, আপনার একটি রিপোর্ট তৈরী করার কথা যা আপনার মন মতো নয়; এবং আপনি স্ট্যাটাস দিলেন, “ধ্যুৎ, রিপোর্ট লেখা একটা শয়তানের কাজ!” – ব্যাস। আপনার বসের চোখে সেটা পড়বেই। আর তখুনি যদি সেটা চোখে না পড়ে, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, দু-তিন দিনের ভেতরই কেউ না কেউ তাকে সেটা জানিয়ে দিবেনই। তখন আপনার ওখানে কাজ করাটাই অসম্ভব হয়ে উঠবে।

 

ফেসবুক অ্যন্ড অনলাইন

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!