ফের পাহাড় ধস রাঙামাটি ও বান্দরবানে

ফের পাহাড় ধস রাঙামাটি ও বান্দরবানে 1প্রতিদিন ডেস্ক : পার্বত্য রাঙামাটি ও বান্দরবানে আবারো পাহাড় ধসের বন্ধ হয়েগেছে সড়ক যোগাযোগ। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দু‘দিনের লাগাতর ভারি বৃষ্টির কারণে এসব পাহাড় ধসে পড়ে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

রাঙামাটি সংবাদদাতা জানান, সোমবার সকালে রাঙামাটিতে ফের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে হালকা ও মাঝারী বৃষ্টির ফলে রাঙামাটির ঘাগড়া, সাপছড়িসহ রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়ে। এতে ওই সড়কে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের তৎপরাতায় সড়কে ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সড়িয়ে যান চরাচলের উপযোগি করে তোরা হয়। এর আগে গত ১৩ জুন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১২০ জনের প্রাণ হানী ঘটে।

এদিকে রাঙামাটির মানিকছড়ি উপজেলার ধেপ্যাছড়ি এলাকায় বিশাল একটি পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের উপড়ে পড়ে। সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ। প্রায় ১ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাস্তার ওপর ধসে পড়া মাটি অপসারণ করে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুছা জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। মানিকছড়ির ধেপ্যাছড়ি এলাকায় বিশাল একটি পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম- রাঙামাটি সড়কের ওপর পড়ে। এই পাহাড় ধসের ফলে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ ঘণ্টা।

বান্দরবান সংবাদদাতা জানান, পাহাড় ধসে বান্দরবানের সঙ্গে রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ফের বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার রাতে এ সড়কে নতুন করে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এদিকে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে জেলা প্রশাসন সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

জেলা মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি বিভাজিকা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, সোমবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। যা কয়েকদিনের তুলনায় বাড়ছে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিলীপ কুমার বণিক জানান, ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ের বসবাসকারীদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসে গত মাসে বান্দরবানে ৪ শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। ওই সময়ও পাহাড় ধসে বান্দরবানের সঙ্গে রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ কয়েকদিন বন্ধ থাকে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!