ফেনীতে কেন্দ্রে ভোটার আনতে ব্যর্থ – হাজারী

স্বতন্ত্র প্রার্থী আরজুকে ৮ মামলায় গ্রেফতার

৩১ মার্চ ফেনী উপজেলা নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার অনুপস্থিত, ফেনী আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন রাজ নৈতিক বোদ্ধারা। এ বিষয়ে ফেসবুকে ফেনীর কিংবদন্তি ৩ বার নির্বাচিত সাবেক এমপি জয়নাল হাজারী গতকাল তার ফেস বুকে স্টাটাসে লিখেন – ফেনীর উপজেলা নির্বাচনে, ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনতে ব্যর্থ হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা। তবে কি কারনে ব্যর্থ হল দল, তার ব্যাখা দেননি তিনি।

উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রার্থী জেলা আঃ লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান বি কম ৪১ হাজার ৭৬৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আরজু পেয়েছেন ৫হাজার ২৫০ ভোট। বিকম বিজয়ী হলে ও ১টি পৌরসভা ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে ফেনী সদর উপজেলা। ২০১৮ সালের হিসাবে মোট ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮৪ ভোট। প্রথম ইভিএম ভোট, যেখানে ভোটারের আগ্রহ থাকার কথা, সেখানে ধরে বেধে ৫০ হাজার ভোট ও কাষ্ট করতে না পারার লজ্জা ও দায়ভার কার?

স্টাটাস ও ফেনীর আওয়ামী লীগের রাজ নৈতিক ভবিষ্যত কি? এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম প্রতিদিন থেকে ফোন করা হলে জয়নাল হাজারী এ বিষয়ে কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজী হননি।

ফেনীর ভবিষ্যত রাজনীতি কোন পথে? জানতে ফোন করা হয়, দৈনিক অবজারভার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর কাছে। তিনি বিকেলে ফোন করতে বলেন। সন্ধ্যায় ফোন করা হলে তিনি নামাজের পর ফোন করতে বলে আর ফোন ধরেননি।

বিজয়ী প্রার্থী জেলা সভাপতি আব্দুর রহমান বি কম, আরজুকে বহিস্কৃত লোক বলে দাবী করে। তাকে বিপদগামী মানুষ বলে দাবী করলে ও ২০১৮ সালে বিকম আরজুকে দলের ত্যাগী কর্মী বলেছিলেন।

অন্যদিকে আরজুকে গ্রেফতার করে গতকাল আদালতে হাজির করেন ফেনী মডেল থানা পুলিশ। তাকে ৮টি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!