ফিল্মি স্টাইলে দোকানে তালা মেরে ‘ক্ষমতার দাপট’ দেখালেন আওয়ামী লীগ নেতা

চলতি বছরের ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল চন্দ্রনগর রোডে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নুর নবীর নামে একটি দোকান বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ২ লাখ ৫২ হাজার টাকায় দোকানটি বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি ৫ অক্টোবর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে আরও ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা মোট ২ লাখ ৫২ হাজার টাকার পে-অর্ডার সিটি কর্পোরেশনের বরাবরে জমা করেন।

এরপর ২১ অক্টোবর নুর নবীসহ টেক্সটাইল মোড় এলাকায় চন্দ্র রোডে ভাসমান ৬৬ ব্যবসায়ীর নামে দোকান বরাদ্দ দেয় চসিক। কিন্তু নুর নবীর বরাদ্দ পাওয়া দোকান দখল করে নেন জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মাইনুল হাসান বাপ্পী ওরফে আব্দুল কুদ্দুস বাপ্পি। তিনি রাতের আঁধারে নুর নবীর দোকানে তালা লাগিয়ে দেন।

ভূক্তভোগী নুর নবী বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক বাপ্পী চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেছেন ‘দোকান দে, না হয় টাকা দে। আমি ওনাকে কোনো প্রশ্ন করলে শুধু শুধুই অকথ্যা ভাষায় গালিগালাজ করেন।’

একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ২২ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মোটরসাইকেল করে এসে দোকানে তালা লাগিয়ে দেন বাপ্পি ও তার সহযোগী সোহেল। ওই সময় ওই দোকানে দুই স্থানে দুটি তালা মেরে দেওয়া হয়।

নুর নবী জানতে চাইলে বাপ্পী বলেন, ‘কোনো বরাদ্দ-টরাদ্দ বুঝি না, সরকার ক্ষমতায়, মেয়র সরকার দলীয়, বরাদ্দ আওয়ামী লীগের নামে, তাহলে আমার দোকানটা কই?’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাপ্পী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দোকান আমার, তাই তালা মেরেছি। নুর নবীর কাছ থেকে স্ট্যাম্প মূলে কিনেছি।’

দোকান যদি আপনার হয় রাতে গিয়ে কেন তালা মেরেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর না দিয়ে নীরব থাকেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভূমি কর্মকর্তাকে একাধিকবার কল করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকেও একাধিকবার কল করা হলে সেখানেও সংযোগ মেলেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, আমি এখনও শুনিনি। কেউ অভিযোগও করেননি। এখন সেখানে লোক পাঠিয়ে খবর নিচ্ছি।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!