ফিটকিরি সাইট্রিক এসিড স্যাকারিন দিয়ে মধু বানায় ওরা
ফিটকিরি, সাইট্রিক এসিড, স্যাকারিন, রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে মধু। দেখে বোঝার উপায় নেই এসব মধু আসল নাকি নকল। চট্টগ্রামে খাঁটি মধুর নামে ভেজাল মধু বিক্রি করে প্রতিনিয়ত মানুষকে ঠকাচ্ছে একটি চক্র। চড়া দামে কেনা এসব ভেজাল মধু কিনছে মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে।
রোববার (২৬ জুলাই) নগরের আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে এমন একটি ভেজাল মধুর চক্রের সদস্যকে আটক করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মানবিক টিক। আটক ব্যক্তির নাম শাওন (৪০)। শাওনের স্বীকারোক্তি, বায়েজিদ এলাকার শান্তি নগরের শিরিন নামের এক মহিলা এই ভেজাল মধু তৈরী করে।
মানবিক পুলিশ ইউনিটের কর্মকর্তা মো.শ ওকত হোসেন জানান, খাঁটি মধুর চাহিদাকে পুঁজি করে নগরীতে ভেজাল মধু বিক্রি করছে একটি প্রতারক চক্র। ফিটকিরি, সাইট্রিক এসিড, স্যাকারিন, রং ও নানা ধরণের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি এ মধু দেখতে আসল মধুর মতই৷ পলিথিন কিংবা বালতিতে করে এসব ভেজাল মধু নিয়ে মৌচাক থেকে কিছুক্ষণ আগে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ক্রেতাদের জানানো হয়। মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য ভাঙ্গা মৌচাকের টুকরো ও মধু সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত আগুনের মশালও হাতে রাখেন তারা। এসব দেখে অনেক মানুষ খাঁটি মধু ভেবে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। পড়ছেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও।
তিনি আরও জানান, প্রতারক চক্রটি ভেজাল মধু নিয়ে নির্জন কিংবা কোন বাস সেটশনে দাড়িয়ে থাকেন। রোববার ফ্লাইওভারে শাওন নামে ভেজাল মধু বিক্রেতা চক্রের সদস্য মধু বিক্রি করছিল। দুই জন মোটরসাইকেল আরোহী তাদের মধু কিনতে যায়। তাদের সন্দেহ হলে য়ারা মানবিক পুলিশের হেল্প লাইনে কল করে জানান। মানবিক পুলিশ ইউনিট এসে তাদের আটক করে বায়েজিদ থানায় হস্তান্তর করেন।’
তিনি জানান, আটক শাওনের স্বীকারোক্তিকে জানায়, বায়েজিদ এলাকার শান্তি নগরের শিরিন নামের এক মহিলা এই ভেজাল মধু ব্যবসার মুল হোতা। সে তার বাসায় ভেজাল মধু তৈরি করে তা শাওনসহ আরও কয়েকজনকে দিয়ে নগরের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজির সহকারী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নানা ধরণের বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি এসব ভেজাল মধু খাওয়ার ফলে মানুষের শীরের ক্যানসার সহ নানা ধরণের রোগ দেখা দিতে পারে। এসব কেমিক্যাল পরিপাকতন্ত্র, কিডনী, লিভারসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।’
সিএম/এমএফও
