ফায়ার সার্ভিস পৌঁছার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই ৬ বাড়ি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে পুড়ে গেছে ৬টি বসতঘর। এসময় ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল, স্বর্ণ ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইসলামিয়া পাড়া এলাকার মকবুল সওদাগরের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হকের পুত্র মো. বাহাদুর ইসলাম টিটুর ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের তীব্রতায় পার্শ্ববর্তী আরও ৫টি ঘর পুড়ে যায়। এসময় বাড়িতে থাকা লোকজনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

ফায়ার সার্ভিস পৌঁছার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই ৬ বাড়ি 1

খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু তার আগে আগুনে ৬টি বসতঘরের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র, স্বর্ণ, নগদ টাকা, কাপড়-চোপড় সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হচ্ছে, মৃত জাফর আহমদের ছেলে জাহেদুল ইসলাম, হাবীবুর রহমান, সেলিম উদ্দিন এবং মৃত সৈয়দুল হকের ছেলে আমিনুল হক ও ফয়জুল হক। আগুনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, ক্ষতির পরিমাণ ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা হতে পারে।

রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ৬টি ঘর পুড়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ২০-২৫ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করছি। তদন্ত শেষে সঠিক পরিমাণ বলা যাবে।’

ক্ষতিগ্রস্ত জাহেদুল ইসলাম জানান, ‘হঠাৎ ঘরে আগুন লাগার খবর পেয়ে দৌড়ে এসে দেখি আমার বসতঘর দাউদাউ করে জ্বলছে। পরিবারের সদস্যরা কোন মতে প্রাণ নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পেরেছে। আগুন আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। পরিবারের সদস্যেদের পরনের কাপড় ছাড়া সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!