ফাঁকা নগরে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় টানা ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ছুটির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সড়ক অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। কোথাও খুব একটা লোকজনের আনাগোনা চোখে পড়েনি। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দিনে স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি রাতে টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘রাতে অন্যান্য সময়ের চেয়েও বেশি সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করবো আমরা। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তবে রাতের টহলে কি পরিমান পুলিশ সদস্য বাড়ানো হবে সেই তথ্য নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অপরাধপ্রবণতা যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠে সেজন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিএমপির বিশেষ শাখার উপকমিশনার মো. আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে না যায় সেজন্য আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের অপরাধ করার প্রবণতা সহজাত। সেটিকে মাথায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, ‘ক্রাইম এগিনেস্ট প্রোপার্টি নিয়ন্ত্রণে আমাদের রাতের বেলা মোবাইল পেট্টোল বাড়ানো হয়েছে। যাতে চুরি, ছিনতাই বা অন্যান্য ক্রাইম বেড়ে না যায়।’

এক্ষেত্রে দিনের বেলায় কাজে কোন পরিবর্তন আসবেনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় কাজ আগের মতই চলবে। রাতে আমরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছি।’

করোনা মোকাবেলাকে গুরুত্ব দিয়ে পাশাপাশি এসব কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে মেহেদী হাসান বলেন, ‘সবাইতো এখন করোনা মোকাবেলাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা মোটামুটিভাবে করোনার পাশাপাশি আমাদের রেগুলার কাজও করছি। অন্য সময়ের তুলনায় পুলিশরা আরও বিজি হয়ে গেছে। ২৪ ঘন্টা আমরা রাউন্ড দ্য ক্লক কাজ করছি।’

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!