ফসলি জমির বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল কিষাণীর

বাঁশখালীতে বন্য হাতি তাড়ানোর জন্য ক্ষেতে দেয়া বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে দিলোয়ারা বেগম (৫০) নামের এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় বৈলছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বৈলছড়ি অভ্যারখীল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ওই কৃষাণি বর্গা নেয়া জমির কাঁকরোল ক্ষেতে কাজ করতে যাওয়ার সময় অন্য এক কৃষকের দেয়া বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

কৃষাণি দেলোয়ারা বেগম একই এলাকার কৃষক সালেহ আহমদের স্ত্রী। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বৈলছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বৈলছড়ি অভ্যারখীল গ্রামটিতে প্রায়ই বন্য হাতির তান্ডবে ফসল নষ্ট হয়। বন্যহাতির তান্ডব ও চোরের উপদ্রব ঠেকাতে স্থানীয় ফরিদ আহমদ ও গোলামুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি তাঁদের বসতবাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার থেকে ২০০ গজ থেকে ৮০০ গজ পর্যন্ত ফসলি জমিতে হাতি তাড়ানোর ফাঁদ পাততে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেন। ওই কৃষাণী এমনই এক ফাঁদে পড়ে মারা যান।

বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নাঈম উদ্দিন বলেন, বৈদ্যুতিক ফাঁদে এক কৃষাণী মারা যাবার খবর পেয়ে অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগকারী দুই ব্যক্তির বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ফসলি জমিতে বন্য হাতি ও চোরের উপদ্রব ঠেকাতে দেয়া অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগের ফাঁদে আটকে কৃষাণী দেলোয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। ফসলি জমিতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়ে রাখা চরম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা উচিত।

বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কৃষাণী দেলোয়ারা বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে মারা গেছেন। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!