ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :
দুর্গাপূজার প্রতিমা রং তুলির কাজ শেষ করে মা দূর্গাদেবীকে বরনে ব্যস্ত ফটিকছড়ির পূজামন্ডপ। পুরোদমে চলছে শেষ প্রস্তুতির কাজ। শুরু হয়েছে চোখ ধাঁধানো মন্ডপ তৈরী, মঞ্চ প্রস্তুত ও দর্শণার্থীদের আকর্ষণের জন্য নানা পরিকল্পনার কাজ।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উৎসব চলাকালীন সময়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
ফটিকছড়ি মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পূজা অনুষ্ঠিত হয় সুয়াবিলে। তাই প্রতিমা বানাতে ও রং করতে এখানকার মৃৎশিল্পীদের চোখে এখন ঘুম নেই। অধিকাংশ মন্ডপে প্রতিমার গায়ে মাটির শেষ প্রলেপ দেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই শেষ হবে রং-তুলির শেষ আঁচড়। পঞ্জিকামতে আগামী ৭ অক্টোবর দেবীর ঘোটকে আগমণ থেকে পূজা শুরু হয়ে আগামী ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে ঘোটকে গমণের মধ্য দিয়ে ৫ দিনের পূজার সমাপ্তি হবে।
উপজেলায় দুটি পৌরসভায় ১৭ ইউনিয়নে মোট ১শ’ ৩ টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মূলত ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে মন্ডপগুলোতে শুরু হয় দেবীর আরাধনা ও পূজা। এর আগেই রং ও অলঙ্কারের কাজ শেষ করে প্রতিমাগুলো পূজার জন্য প্রস্তুত করা হয়ছে বলে সুয়াবিলের ডা লিটার চক্রবর্ত্তী ও সুয়াবিল পূজা কমিটির সভাপতি প্রিয় রঞ্জন ভট্টাচার্য্য জানায়। এরপর মন্ডপে চলে আলোকসজ্জার কাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানায়, উপজেলা প্রশাসন দূর্গা মন্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্তা এবং প্রতিটি পূর্জামন্ডপের জন্য ৫ শত কেজি চাউল দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ফটিকছড়ির সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিদের বলেছি ফটিকছড়ির পূজা মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পালনে করতে পারে এবং কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলেছি।
রিপোর্ট : আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি।
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::