ফটিকছড়িতে নেওয়াজ বাবুর মাকে গালি দেওয়ায় মনসুরকে খুন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মনসুর হত্যাকাণ্ডের এজহারভুক্ত আসামি নেওয়াজ বাবু জানিয়েছেন ‘ঘটনার দিন মনসুর আমার মা মোহছেনা বেগমকে গালি দেয়। আমি মনসুরের মুরুব্বিদের কাছে বিচার চেয়েছিলাম। তারা কোনো সাড়া না দেওয়ায় রাগের মাথায় আমি মনসুরকে ছুরিকাঘাত করি।’ সেই একটি আঘাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনসুরের মৃত্যু হয়। দুই বছর পূর্বে আত্মরক্ষার জন্য কেনা চুরিই শেষ পর্যন্ত খুনের কাজে ব্যবহার করলো নেওয়াজ বাবু। তিন দশকেরও বেশী সময় ধরে নেওয়াজের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মনসুরের পরিবারের জায়গা-সম্পত্তির বিরোধী চলছিল। সেই সম্পত্তি নিয়ে একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে আদালতে।

মনসুর খুনের অভিযোগে আটক নেওয়াজ বাবুর স্বীকারোক্তি এবং তদন্তে উঠে আসে ১৪ মে ঘটনার দিন বাবুর মাকে গালি দিয়েছিল মনসুর। মনসুরের মুরুব্বিদের কাছে বিচার দিয়ে সাড়া না পেয়ে গালির পরিবর্তে বাবু মনসুরকে ছুরিকাঘাত করেন। সেই ছুরিকাঘাতের পর মনসুরকে ফটিকছড়ি থেকে আনা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওইদিন রাত সাড়ে আটটায় মনসুরকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছুরিকাঘাতের পরই পরই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান নেওয়াজ বাবু।

প্রায় দুই মাসেও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ খুনের ঘটনার কোন কূল-কিনারা করতে না পারায় ৬ জুলাই মামলার তদন্তভার যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)। মামলার তদন্তভার পাওয়ার নয় দিনের মাথায় পিবিআই আসামিকে গ্রেপ্তার করে স্বীকারোক্তিও নিয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, তদন্তভার পাওয়ার পর উপ-পরিদর্শক পরিতোষ দাশ ও তার টিম নেওয়াজ বাবুকে হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করেন। নেওয়াজ বাবু খুনের শিকার মনসুর হত্যাকাণ্ডের বিবরণে জানিয়েছেন, তার মাকে গালি দেওয়ার বিচার না পেয়ে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চুরি আমরা উদ্ধার করেছি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এফএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!