ফটিকছড়িতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের ধুম

আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি॥

চট্টগ্রামের বৃহত্তর ফটিকছড়িতে শীতের আগাম সবজি চাষের ধুম পড়েছে। কেউ কেউ আরো আগেই সবজি চাষে নেমেছেন। এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের প্রায় সব ধরনের আগাম সবজি। এর মধ্যে রয়েছে মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, ওলকপি, বরবটি, গাজরসহ নানা ধরনের সব্জি। নতুন এসব সবজির দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। পাইকারি বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের সবজি পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে ট্রাকযোগে চট্টগ্রাম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।

fatickchari-news-ctg-16-11-2016-2-1

আগাম শাকসব্জি বাজারে তুলতে পারলে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব সেই চিন্ত মাথায় রেখে চারা তৈরি ও সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরা। শীতের শুরুতেই ফটিকছড়ির প্রত্যন্ত গ্রমাঞ্চলে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। দিনের বেলা প্রচন্ড গরম পড়লেও রাতে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়ার এমন পালাবদলে ফটিকছড়ি উপজেলায় চাষাবাদের ধরনও পাল্টেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শীতকালীন সব্জী আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২০০ হেক্টর, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৫০০০ মেট্রিক টন (আলু ছাড়া)। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১২০০ হেক্টর, গোল আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০০ হেক্টর, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা,৬০০০ মেট্রিক টন, মিষ্টি আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫০ হেক্টর, উৎপাদন ৪২০০ মেট্রিক টন, শীতকালীন সব্জী ১৮০০ হেক্টর, উৎপাদন ১৬৮০০ মেট্রিক টন।

 

জানা গেছে, উপজেলার কাঞ্চননগর, সুয়াবিল, নাজিরহাট, হারুয়ালছড়ি, ভূজপুর, নারায়ণহাটসহ হালদা প্রবাহিত বিভিন্ন ইউনিয়নসমূহ বড় পরিসরে মূলা, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, লালশাক, বাটিশাক, আলু, মরিচ, শসা, খিরা, লাউ ভাল শাকসব্জি’র চাষ হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে চাষিরা সব্জি চাষ করে লাভবান হওয়ায় তারা শীতের আগাম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। শীতের আগেই বাজারে বিক্রি করে বেশি টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে এখন চাষিরা জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চারা বপন ও পরিচর্যার কাজ করে যাচ্ছেন।

 

নাজিরহাট হালদা নদীর চর এলাকার সব্জি চাষি আনু মিয়া জানান, শীতের আমেজ শুরু হয়েছে সে কারণে শীতকালীন শাকসব্জি চাষাবাদ করছি। একই এলাকার চাষি মাকর আলী বলেন, শীতের আগেই শাকসবজি জমিতে লাগিয়েছিলাম। সেগুলো এখন বাজারে বিক্রি করছি। আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি করে ভালো লাভ হচ্ছে।

 

সুয়াবিল গ্রামে চাষি সজল চক্রবর্ত্তী বলেন, যেকোনো সবজিই যদি মৌসুমের শুরুতেই বাজারে তোলা যায়, তবে তার দাম যেমন বেশি পাওয়া যায়, তেমনি ক্রেতাদের কাছে তার চাহিদাও থাকে বেশি। সে চিন্তা মাথায় রেখেই তিনি এবার জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ বলেন, এবার উপজেলায় আগাম চাষ করায় ভাল দাম পাচ্ছে কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জাত নির্বাচন এবং পোকা-মাকড় দমনে কৃষকের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।

এ এস / জি এম এম / রাজীব সেন প্রিন্স ::;

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!