প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করায় চাপাতি দিয়ে কোপাই: আদালতে বদরুলের দায় স্বীকার

প্রতিদিন রিপোর্ট :

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে কথিত প্রেমিক শাবি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল।

85_37361

সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম শারাবান তহুরা বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল সোয়া চারটা পর্যন্ত জবানবন্দী গ্রহণ করেন।

প্রায় পৌনে দুই ঘন্টাব্যাপী স্বীকারোক্তি প্রদানকালে বদরুল আদালতকে জানায়, খাদিজার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

 

তাদের বাড়িতে লজিং থাকাকালে তার সঙ্গে এ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানজানি হওয়ার পর খাদিজার পরিবার তা মেনে নিতে পারেনি। আমাকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।

 

পরবর্তীতে পারিবারিক চাপে খাদিজা আমাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। বারবার তাকে সম্পর্ক রাখার জন্য চাপ দিলেও সে পাত্তা দেয়নি। গত সোমবার পরীক্ষার খবর পেয়ে আমি খাদিজার সঙ্গে দেখা করতে এমসি কলেজে যাই।

 

14470586_582847021919741_3827238028869810677_n

সেখানে গিয়ে খাদিজার সঙ্গে কথা বলে বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু খাদিজা আমাকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো রূঢ় আচরণ করে।

 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সঙ্গে থাকা চাপাতি দিয়ে খাদিজাকে কোপাতে থাকি। জবানবন্দী শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বিকেলে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসের (২৩) ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল ইসলাম।

 

এসময় ধারালো ছুরি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে বদরুল। এতে খাদিজা মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।

14572897_582847005253076_6237804850010249800_n

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১টা পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলছিল। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দ্রুত ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

 

দুই দফা অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে তাকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদিজার মামা আবদুল বাছিত।

 

মঙ্গলবার নার্গিসের চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে উত্ত্যক্ত ও হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হামলার অভিযোগে বদরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

 

এবিএন

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!