প্রেমের ফাঁদ ফেলে প্রতারণা, তিন ছাত্র পুলিশের জালে ধরা

প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবককে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনই নগরের স্বনামধন্য কলেজের অনার্সপড়ুয়া ছাত্র বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার ইউএসটিসির সামনে থেকে এই তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইফতেখারুল আলম (২৫), ইউএসটিসির ইইই বিভাগে তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র তালিম উদ্দিন (২৪) এবং আইআইইউসি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করা সালেহিন আরাফাত (২৮)।

হাসান তারেক (৩৭) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে দুই সপ্তাহ আগে ইসরাত (১৮) নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে মোবাইলের নম্বর আদান-প্রদান হয়। কথাবার্তা চলতে থাকে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাসানকে ইসরাতের বাসায় আসতে বলা হয়।

কথামতো হাসান আকবরশাহ থানা এলাকার বিশ্বকলোনী ডি ব্লকে ইসরাতের বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ চার ব্যক্তি ইসরাতের বাসায় ঢুকে। এসেই তারা হাসানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে, পুলিশের হাতে তুলে দেবে ইত্যাদি বলে ভয় দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে হাসান বিকাশের মাধ্যমে ২৪ হাজার টাকা এনে নেয়। কিন্তু আসামিরা এত অল্প টাকা নিতে আপত্তি জানালে হাসান তার বোন শারমিন ফারজানাকে ফোন করে তার দুটি চেক নিয়ে আসতে বলে। ফোনে হাসানের কথাবার্তায় তার বোন শারমিনের সন্দেহ তিনি ৯৯৯-এ জানালে খুলশী থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে।

এরপর খুলশী থানা পুলিশ ইউএসটিসির সামনে অবস্থান নেয়। পুলিশের কথামতো শারমিন আসামিদের ফোন করে ব্যাংক চেক নিতে আসতে বলে। এ ফাঁদে পা দিয়ে চেক নিতে আসলে পুলিশ তালিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।

তালিমের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাসানকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইসরাত এবং মুহাম্মদ রুমি নামের আরও দুজন পলাতক আছেন বলে জানান ওসি।

আসমিদের বিরুদ্ধে ঘটনার শিকার হাসানের বোন ফারজানা বাদি হয়ে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান আকবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

এইচটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!