প্রহরীদের বেঁধে নাজিরহাট কলেজে ডাকাতি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাজিরহাট কলেজে ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ১ নম্বর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদলের সদস্যরা কলেজের দুই নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে কলেজের কয়েকটি আলমিরা ভেঙ্গে ফেলে। তবে আলমিরার ভেতর শুধু কাগজ থাকায় কিছু নিতে পারেনি ডাকাতদল।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, ‘শনিবার দিবাগত রাতে ১০-১২ জনের সশস্ত্র একটি ডাকাতদল আবুল কালাম (৪৫) ও এনাম (৪০) নামে কলেজের দুই নৈশ প্রহরীকে রশি দিয়ে বেঁধে কলেজ কার্যালয়ে তালা ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে। পরে তারা নগদ টাকার লুটের আশায় ৫টি লোহার আলমিরা, ২টি স্টিলের ড্রয়ার ও একটি টেবিলের তালা ভেঙ্গে নথিপত্র তছনছ করে ফেলে। পরে ডাকাতের ঘটনা আঁচ করতে পেরে কলেজ মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ডাকাতদল দ্রুত পালিয়ে যায়।

নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল হুদা বলেন, ‘ডাকাতদলের সদস্যরা কলেজের আলমিরায় টাকা থাকতে পারে ভেবে টাকা লুটের আশায় কলেজে প্রবেশ করেছিল। ওই সময় হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের সরকারি নম্বরে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।’

তবে ঘটনার খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ও হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব শর্মা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ‘বিদ্যা-শিক্ষা অর্জনের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে ডাকাত এসেছে শুনে খুবই খারাপ লাগছে। এটি সকলের জন্য খুবই দুঃখজনক ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আশা করছি দ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো ধরনের সিসি ক্যামরা ছিল না। যদি থাকতো তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না। তাই কলেজে দ্রুত সিসি ক্যামরা লাগানোর জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। হয়তো তারা অচিরেই এ ধরনের ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপটি গ্রহণ করবে।’

এদিকে সরকারি মোবাইলে ফোন রিসিভ না করার বিষয়টি অস্বীকার করে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম বলেন, ‘অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে আলাপ করে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!