প্রশাসনের সমন্বয়হীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবেই এই জলাবদ্ধতা: ক্যাব

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আনুকূল্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬শ’ ১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প নেয়া হলেও প্রকল্প শুরুর তিন বছরের মাথায় দুইদিনের বৃষ্টিতেও পুরো নগর জলমগ্ন হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে!

সরকার চট্টগ্রামবাসীর যন্ত্রণা লাঘবে বিপুল বরাদ্দ প্রদান করলেও প্রকৃতপক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসনে কিছু রাজনৈতিক বুলি, কিছু সভা সমাবেশ, বিলবোর্ড, ফেস্টুন ছাড়া তেমন কিছু অর্জন হয়নি। এ কারণেই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাঝে সমন্বয়হীনতা যেরকম ছিলো, তেমনি অর্থ বরাদ্দ দেবার পরও প্রকল্পের অগ্রগতি না হওয়াকে প্রশাসনের ভেতরে জবাবদিহিতার অনুপস্থিতিকে দায়ী করছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নিয়োজিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় জোরদার করতে ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যাবসহ বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন নালা নর্দমা ও খালগুলি দ্রুত সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানালেও প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ সেখানে কর্ণপাত না করার কারণে বর্তমানে চাক্তাই খালের উপরের অংশে প্রশস্ততা ৩৫ ফুট হলেও নিচের অংশে গিয়ে ১৫ ফুটে দাঁড়িয়েছে, ফলে বৃষ্টি হলেই পানি নিষ্কাষণের পরিবর্তে নগরী জলমগ্ন হয়ে ওঠে। নগরীর পানি নিস্কাষণের ড্রেন, নালা, নর্দমা ও খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে, প্রভাবশালী মহলের দখলে বিল্ডিং নির্মিত হয়ে নগরীর পানি নিষ্কাষণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, যুগ্ম সম্পাদক আবু মোশারফ রাসেল, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক এএম তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!