শাহ আমানত বিমানবন্দরে জোরদার হচ্ছে গ্রিন ও রেড চ্যানেল

প্রবাসী শ্রমিকদের সুবিধা দিতে কাস্টম হাউজের উদ্যোগ

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জোরদার হচ্ছে গ্রিন ও রেড চ্যানেল। প্রবাসী শ্রমিকদের দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তি শেষে বিমানবন্দরে অহেতুক হয়রানির শিকার বন্ধ করতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীরা অল্প সময়ে বিমান থেকে অবতরণ করে বিমানবন্দর পার হতে পারবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুল বলেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগে থেকেই গ্রিন ও রেড চ্যানেল চালু রয়েছে। সে কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রী বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকরা ভ্রমণ ক্লান্তি শেষে নির্বিঘ্নে বিমানবন্দর পার হতে পারবে।

নাহিদ নওশাদ মুকুল আরো বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর বেশিরভাগ যাত্রী গ্রিন চ্যানেল দিয়ে কোন প্রকার চেকিং ছাড়া পার হয়ে যেতে পারবে। কোন যাত্রীর কাছে শুল্ক পরিশোধ পণ্য থাকলে তিনি স্বেচ্ছায় ঘোষণা দিয়ে রেড চ্যানেল দিয়ে যাবেন। রেড চ্যানেল কাউন্টারে যেই অফিসার থাকেন তার কাছে সরাসরি ঘোষণা দেবেন কী কী মালামাল আছে। তখন কাস্টমস কর্মকর্তা ওই মালের শুল্ক ধার্য করে স্লিপ দেবেন যাতে যাত্রী পাশের ব্যাংকে গিয়ে তা পরিশোধ করে মালামাল নিয়ে চলে যেতে পারেন।

কাস্টম সূত্র জানায়, যাত্রীর কাছে শুল্ক পরিশোধযোগ্য পণ্য না থাকলে বিমানবন্দর থেকে থেকে বের হয়ে লাগেজ সংগ্রহ করে সরাসরি গ্রিন চ্যানেলে যাবে- সেইসব যাত্রী যাদের কাছে কোনো ধরনের শুল্ক পরিশোধযোগ্য আইটেম নেই। তাদের শতকরা রেনডম করা হয়। যদি কোনো শুল্কযোগ্য মালামাল না থাকে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যদি থেকে থাকে আর এই চ্যানেল দিয়ে পার হওয়ার সময় ধরা পড়েন তাহলে জরিমানাসহ তাকে শুল্ক দিয়েই বের হতে হয়। অন্যথায় মালামাল জব্দ করা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এয়ারপোর্ট এন্ড এয়ারফ্রেইট শাখার সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম জানান, শাহ আমানতে রেড ও গ্রিন চ্যনেল কার্যক্রম জোরাদার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম এ কার্যক্রম পরিদর্শনে আসছেন।

চট্টগ্রাম কাস্টম সূত্র জানায়, রেড ও গ্রিন চ্যানেলের কার্যক্রম জোরদার করার প্রধান কারণ হলো প্রবাসী শ্রমিকদের বিমানবন্দরে বিশেষ সুবিধা দেওয়া দেওয়া। কারণ তারা দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরে। দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তির পর যাতে বিমানবন্দরে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। এই কার্যক্রম জোরদার হলে প্রবাসীদের হয়রানি কমার পশাপাশি রাজস্ব আহরণেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিমানবন্দরে এ কার্যক্রম পরিদর্শনে যাবেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!