প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে চকরিয়ায় ধরা ছাত্রদল নেতা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টাকা ধার দেওয়ার কথা বলে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

রোববার (১৭ জুলাই) মধ্যরাতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার বার আউলিয়া এলাকা থেকে মো. তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ (২৮) নামের ওই যুবককে আটক করা হয়।

তৌহিদুল চকরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তিনি ওই এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নাশকতাসহ বিভিন্ন ধারায় মোট ৫টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব জানায়, প্রবাসীর স্ত্রী একটি জমি কিনতে কিছু টাকা ধার চান প্রতিবেশী মুদির দোকানদার তৌহিদের কাছে। নিয়মিত তৌহিদের দোকান থেকে বাজার করার ফলে তাদের উভয়ের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক ছিল। এরপর টাকা ধার দিতে রাজি হন তৌহিদ।

টাকা নিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে গত বছরের ১৪ জুলাই চকরিয়ার ওশান সিটি মার্কেটে আসতে বলেন। মার্কেটের তৃতীয় তলায় একটি আবাসিক হোটেলের রুমে নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করার পর তৌহিদ ধর্ষণ করেন ওই মহিলাকে। ধর্ষণের দৃশ্য নিজের মোবাইলে ধারণও করেন তিনি।

এরপর তৌহিদ ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে বিভিন্ন সময় আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন ওই মহিলাকে। কিন্তু পরে তৌহিদের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে টাকা দিতে অপারগতা জানালে সেই ভিডিও ওই বছরের ১৮ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে দেন তৌহিদ।

এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। একইসঙ্গে র‌্যাবের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও জানান। ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দেয় তৌহিদ। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তৌহিদকে আটক করে র‌্যাব।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার বলেন, ‘আসামি তৌহিদ এলাকায় একজন চিহ্নিত অপরাধী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় ধর্ষণ, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৫টি মামলা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!