১৩ সাংবাদিকসহ চট্টগ্রাম প্রতিদিন পেল ‌‘মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’

অভিবাসন খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য ১৩ সাংবাদিক ও একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে ‘মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ দেওয়া হল। চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘সৌদি মরুর বুকে স্বপ্নভঙ্গের সাক্ষী চট্টগ্রামের দুই প্রবাসী’ শিরোনামে প্রতিবেদনের জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার ফারুক মুনির। গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য দেশের অন্যতম সম্মানজনক পদক হিসেবে এটি বিবেচিত হয়।

আন্তর্জতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং ব্র্যাকের অংশীদারিত্বে বাস্তবায়িত প্রত্যাশা প্রকল্প থেকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হলো যা সরকারের নেতৃত্বে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার হাতে ফারুক মুনির।
পুরস্কার হাতে ফারুক মুনির।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কল্যাণে এই প্রথম সৌদি আরবে বাংলাদেশী নারী শ্রমিক হত্যার বিচার শুরু হয়েছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাশে থাকতে গণমাধ্যম সব সময় যেসব গঠনমূলক পরামর্শ দিচ্ছে সরকার তার আলোকে পদক্ষেপ নিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করবে।’

এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের হেড অব কোঅপারেশন মাউরিজিও কিয়ান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ প্রধান গিওরগি গিগাওরি, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সিনিয়র ডিরেক্টর কেএমএম মোর্শেদ ও মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, সরকারের দুই উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ রেফাত আলী ও বেগম রাহমুনা সালাম খান এবং নিউজ২৪এর প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নি।

সংবাদপত্র বিভাগে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— ফারুক মুনির (চট্টগ্রাম প্রতিদিন), মো. মহিউদ্দিন (প্রথম আলো), ওয়াসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (নিউ এইজ), আরাফাত আরা (দ্যা ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস)। আবু তাহের তুষার (দৈনিক জালালাবাদ, সিলেট) , এমদাদ উল্লাহ (ফেনীর সময়)।

টেলিভিশন বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন (সাবিনা পুঁথি) (ডিবিসি), সালাহ উদ্দিন আহমেদ (আহমেদ রেজা) যমুনা টেলিভিশন, আশিকুর রহমান শ্রাবণ (নিউজ টুয়েন্টিফোর)। বেতারে একমাত্র পুরস্কারটি গেছে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে।

অনলাইন সংবাদপত্র বিভাগে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— মানসুরা হোসাইন (প্রথম আলো), কামরুজ্জামান বাবলু (তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুল এজেন্সির বাংলাদেশ প্রতিনিধি) ও সাদ্দিফ সোহরাব অভি (বাংলাট্রিবিউন)। সাংবাদিকদের পাশাপাশি অভিবাসন খাতে অবদান রাখায় সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বিভাগে একমাত্র পুরস্কারটি পেয়েছে প্রবাস কথা।

এই পুরস্কারের জন্য এর আগে চট্টগ্রাম থেকে সাংবাদিক সালেহ নোমান মনোনীত হয়েছিলেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!