প্রবল বর্ষণে বন্যা, লামায় পনিবন্দী হাজারও মানুষ

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বান্দরবানের লামায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

পাহাড়ি ঢলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাসভবনসহ ফাসিঁয়াখালী সড়কের সঙ্গে লামা-আলীকদম সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে পাহাড়ে পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদেরকে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত চারদিন প্রবল বর্ষণের ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

পানিতে যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে- লামা বাজার, পৌরসভার নয়া পাড়া, লামা বাসস্টেশন, নুনারবিল, হাসপাতাল পাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকা, রাজবাড়ি, কলিঙ্গাবিল, চাম্পাতলী, ছোট বমু, ও রুপসী পাড়া। এছাড়া গতকাল থেকে হলি চাইল্ড পাবলিক স্কুল ও ছোট নুনারবিল পাড়ায় কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে বন্যা প্লাবিত ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র, উঁচু ভবন ও পাহাড়ের চূড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি ও লামা পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চারটি আশ্রয় কেন্দ্রের অবস্থান করার বন্যায় মানুষের শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা থেকে মানুষজন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলার পক্ষে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া গত দুইদিন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলার প্রত্যেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!