প্রধানমন্ত্রী শুধু পাজেরোতে চড়েননা ভ্যানেও চড়েন

প্রধানমন্ত্রী শুধু পাজেরোতে চড়েননা ভ্যানেও চড়েন 1প্রতিদিন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুধু পাজেরোতে চড়বে এমন কোন কথা নেই। প্রয়োজনে কখনো কখনো ভ্যান গাড়িতেও চড়েন। এমনটির ব্যতিক্রম ঘটেনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আজ তার বাস্তবতা দেখিয়ে দিলেন তিঁনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যেকোনও স্থান ভ্রমণের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সুবিধাই পান শেখ হাসিনা। কিন্তু গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে সেইসব সুবিধা ছেড়ে তিনি চড়লেন ভ্যান গাড়িতে। সেই ভ্যানে চড়েই ঘুরে বেড়ালেন নিজের গ্রাম। আর সঙ্গে থাকা নাতি-নাতনিদের দেখালেন টুঙ্গিপাড়ার মাঠ-ঘাট।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে এভাবেই সবাইকে চমকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী পেপিকে নিয়ে পৈতৃক বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রধানমন্ত্রী চলে যান বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১নং গেটে। সেখান থেকেই তিনি সবাইকে নিয়ে চড়ে বসেন ভ্যানে।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রে জানা যায়,  ‘নিরাপত্তাকর্মীরা এসময় প্রধানমন্ত্রীকে গাড়ি ব্যবহারের অনুরোধ করলেও প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা না শুনে ভ্যানেই চড়েন।’
হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যানের সামনের দিকেই বসেছিলেন। তার কোলে ছিল এক নাতি, পেছনে আরেক নাতনি। ভ্যানের অপর পাশে সামনের দিকে ছিলেন ভাগ্নে রেদওয়ান ও পেছনের দিকে তার স্ত্রী পেপি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর গায়ে ছিল সাদা রঙের টাঙ্গাইলের সুতি শাড়ি; তাতে নীল পাড়ের আঁচলে লাল-কালো সুতার কারুকাজ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী একাদশ জাতীয় রোভারমুট উদ্বোধন করে দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি কোনও সরকারি বা দলীয় কর্মসূচি রাখেননি। টুঙ্গিপাড়ায় শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত তিনি পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ওই ব্যক্তি জানান, প্রধানমন্ত্রী তার পুরোনো বাড়িতেই দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। পরে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে তিনি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধে প্রবেশ করেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়া থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!