চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ১০ বিশেষ উদ্যোগকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তথ্য অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে পিআইডির সম্মেলন কক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য অধিদফতর ঢাকা ও আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রাম।
এতে তৃণমূলে মানুষের জীবনমানে কেমন প্রভাব ফেলছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে উপকারভোগীরা কেমন আনন্দিত, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ কিভাবে ভোগ করছে— এমন সব বিষয় ওঠে এসেছে ১০ উদ্যোগ বিষয়ক ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে।
তথ্য অধিদফতর ঢাকার সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার ইয়াকুব আলী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও ১০ উদ্যোগ বিষয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর।
চট্টগ্রাম পিআইডির সিনিয়র তথ্য অফিসার মারুফা রহমান ঈমার সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে জেলা তথ্য অফিস সিলেটের পরিচালক মো. আজিজুল হক নিউটন, তথ্য অধিদফতর ঢাকার সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, লায়লা আরজুমান্দ বেগম, আশরোফা ইমদাদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাস, দৈনিক পূর্বকোণের প্রধান প্রতিবেদক সাইফুল ইসলাম ও বার্তা সম্পাদক মোরশেদ আলম, দৈনিক পূর্বদেশের চিফ রিপোর্টার সবুর শুভ, সিপ্লাস টিভির এডিটর-ইন চিফ আলমগীর অপু, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের চিফ রিপোর্টার ভূঁইয়া নজরুল, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রতিনিধি, জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রামের প্রতিনিধিসহ একাধিক গণমাধ্যমকর্মী বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা ১০ উদ্যোগকে তৃণমূলে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এর সুফল সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, পিআইডিসহ সরকারি গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে আরো সক্রিয় হতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইয়াকুব আলী বলেন, ১০ উদ্যোগ তৃণমূলে ভাগ্য ফেরানোর উদ্যোগ। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো দূরদর্শী নেতা পেয়েছি। ১০ উদ্যোগ পেয়েছি। পিআইডি এ বিষয়ে আরো উদ্যোগ নেবে। তিনি এসব বিষয় প্রচারণার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন ও উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন।