প্রধানমন্ত্রীর সেই সেলিনার ৪ কন্যার আরও ১ বছরের লেখাপড়ার খরচ দিলেন আ জ ম নাছির

মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি থানায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য একটি করে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সেই উদ্যোগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার উপকারভোগী এক নারী সেলিনা। ঘর পেলেও চার মেয়ে নিয়ে বিধবা এই নারীর সংসারে চলছিল টানাপোড়েন। ঘর হস্তান্তরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভার্চুয়ালি তার জীবন ধারণের কথা জানান এবং ধন্যবাদ দেন।

প্রধানমন্ত্রীকে তার দুঃখের কথা জানানোর সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সেসময় তিনি সেলিনার চার মেয়ের পড়ালেখার দায়িত্বভার নিজ কাঁধে তুলে নেন। নিজ বাসভবনে ডেকে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেন সেই নারীর হাতে। এছাড়াও নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতার কথাও জানান নাছির।

বছর পার হলেও কথা দিয়ে কথা রাখতে ভুলেননি আ জ ম নাছির উদ্দিন। শনিবার (৩ জুন) হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে সেলিনার চার মেয়ের আগামী এক বছরের পড়ালেখার খরচ পাঠিয়েছেন। চসিকের লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা আনিছুর রহমান চৌধুরী এসব শিক্ষাসামগ্রী নিয়ে যান সেলিনার বাড়িতে।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ইউসুফ বলেন, ‘সেলিনার চার মেয়ের আগামী এক বছরের টিউশন ফি বাবাদ ৫৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৫ হাজার টাকার শিক্ষাসামগ্রী দিয়েছেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।’

এর আগে গত বছরের ১২ এপ্রিল মুজিববর্ষে উপলক্ষে গণভবন থেকে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ লাইনসের সিভিক সেন্টার ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় গৃহ হস্তান্তর ও সার্ভিস ডেক্স উদ্বোধন করেন।

ওই সময় প্রধানমন্ত্রীকে সেলিনা বলেন, ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র চার মেয়ের জননী তিনি। ১২ বছর আগে তার স্বামী মুজিবুর রহমান মারা যান। এরপর গার্মেন্টেসে চাকরি করে অভাবে দিনাতিপাত করছেন। মুজিববর্ষের ঘর উপহার পেয়ে সেলিনা কোনোভাবে চললেও তার মেধাবী চার মেয়ের পড়াশোনায় ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্র্যতা।’

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!