প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভাঙচুর করে কব্জির জোর দেখাল উপজেলা চেয়ারম্যানের লোক

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে নির্মাণকাজ যাচাই করার নামে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলমের লোকজনের বিরুদ্ধে। এর আগে ওই জায়গায় কাজের পরিস্থিতি দেখার পর আরেকটি প্রকল্পে যান চেয়ারম্যান।

বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে পৌরসভার পশ্চিমে আদর্শগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি দেয়ালের তিন ফুট গাঁথুনি ও গাঁথুনির বেশ কিছু লাগানো ইট-সিমেন্টের দেয়াল পা দিয়ে লাথি মেরে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ না পাওয়ায় হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন এমনটি করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণকাজের ভাঙচুরে জড়িতরা চেয়ারম্যানের অত্যন্ত কাছের লোক। ওনার ইশারায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। বুধবার বিকালে সবাই চেয়ারম্যানের সঙ্গে সেখানে কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে চেয়ারম্যান তাদের একটি অংশকে এক জায়গা রেখে অন্য স্থানে চলে যান।

এ ঘটনায় জড়িতরা হলেন হাটহাজারী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা মনি, আনোয়ার মেহেদী, আইয়ুব খান লিটন, চেয়ারম্যানের পিএস রাশেদ।

ভাঙচুরের সময় বাধা দেওয়ায় এক নির্মাণশ্রমিকে মারধর করেন আনোয়ার মেহেদী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি বুধবার বিকেলে আমার এলাকার প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে যারা ভাঙচুর করেছে সেটার দায়ভার তো আমি নেব না। কেউ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। সামনে কাউন্সিল, তাই আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘একটি ওয়ালের তিন ফুট গাঁথুনি পর্যন্ত ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের লোকজন কাজ ঠিক মতো হয়েছে কিনা দেখতে এমনটাই ঘটিয়েছেন।’

কাজ দেখার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের লোকজনের কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাজ পরীক্ষা করা তাদের দায়িত্ব, সেটা বলছি না। আমরাও অনেক সময় প্রকল্পের কাজ তদারকি করতে গিয়ে সেখানে মান যাচাইয়ের জন্য দু-একটা ইট ও সিমেন্টের কাজ ধাক্কা দিয়ে দেখি। তারা হয়তো সেটি করেছে। চেয়ারম্যান সেখানে ছিলেন না। তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্য জায়গায় ছিলেন।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!