প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম ১ জুলাই থেকে আবার শুরু হচ্ছে

চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিনই দেয়া হবে

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে আবারও সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এবারে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিনই দেয়া হবে। সারাদেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল এবং সৈয়দপুর সদর হাসপাতালে এই টিকাদান করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ হাসপাতালগুলোতে পূর্বের ন্যায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে আবারও সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে সিনোফার্মের টিকা দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালসহ টিকা কেন্দ্রগুলোতে দেওয়া হবে। আর ফাইজারের টিকা রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। তবে আপাতত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই সারাদেশে টিকা দেওয়া হবে।

বুধবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দেশব্যাপী সিনোফার্মের টিকা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সকল জেলা সদর হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেস হাসপাতাল ও সৈয়দপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।

শামসুল হক বলেন, অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন, বিশেষ করে আমাদের মেডিকেল, নার্সিং ও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা টিকা পাবেন। একইসঙ্গে আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, পুলিশ বাহিনীর লোকজন ও অন্যান্য অগ্রাধিকার কর্মীরাও টিকা নিতে পারবেন। এছাড়াও যারা আগেই নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারেননি তারা নিতে পারবে।

টিকার নিবন্ধন খুলছে আজ

টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের জন্য আজ থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম খুলে দেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধনের পর কেন্দ্র থেকে যখন এসএমএস আসবে, তখন সে অনুযায়ী কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা কার্ড ও এনআইডি সঙ্গে নিয়ে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের করোনা টিকাদান কেন্দ্রগুলো লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। টিকা নেওয়ার জন্য বের হওয়া কাউকে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তাহলে টিকা কার্ডটি দেখাবেন ও কোনো কেন্দ্রে যাচ্ছেন সেটি বলবেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!