প্রতিমা বিসর্জনে মিলনমেলা কক্সবাজার সৈকতে

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা। এটি দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে এবার করোনা মহামারীর কারণে শোভাযাত্রা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন শেষ হয়েছে। ছিল না রং ছিটানো ও আতশবাজি ফুটানোর খেলা। এছাড়া ছিল না তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতাও।
এরপরও বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও মুসলিম ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় সমুদ্র সৈকত।

এ বছর কক্সবাজার জেলার সদর, রামু, উখিয়া উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে আসা প্রতিমাগুলো সৈকতে বিসর্জন দেওয়া হয়। স্ব স্ব মণ্ডপ থেকে প্রতিমাগুলো এনে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে বিসর্জন দেওয়া হয়।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, কক্সবাজার সৈকতে এবার শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে কক্সবাজার সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীর লোকজন ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের লোকজনের সমাগম ঘটে। তবে তা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বলে জানান আগতরা।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে সব নিয়ম-নীতি মেনে ট্রাক করে লাবণী পয়েন্টে একে একে আনা হয় প্রতীমা। এরপর ভক্তদের কাঁধে চড়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিসর্জনের জন্য। প্রতিমা বিসর্জনে জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্বপালন করেন।

এছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশের উদ্যোগে সৈকতপাড়ে নির্মিত করা হয় বেশকয়েকটি অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সেই সব টাওয়ার থেকেই পুরো সৈকতের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। সবমিলিয়ে এবার সৈকত পাড়ে পুরো কক্সবাজার জেলার প্রতিমা বিসর্জন অনেকটাই ফিকে।
প্রতিমা বিসর্জনে মিলনমেলা কক্সবাজার সৈকতে 1
সোমবার সকাল থেকেই সৈকতপাড়ে কিছু ভক্ত দর্শনার্থী আসলেও তাঁদের চোখে মুখে ছিল বিষাদের সুর। সৈকত পয়েন্টগুলোতে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া প্রশাসনিক নিরাপত্তা। সবমিলিয়ে টানা পাঁচদিন মৃন্ময়ী রূপে মণ্ডপে থেকে আজ ফিরে গেছেন কৈলাশে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে। দূর কৈলাশ ছেড়ে মা পিতৃগৃহে আসেন দোলায় চড়ে। বিজয়া দশমীতে বিদায় নিবেন ঘোড়ায় চেপে।

বিজয়া দশমীর বিসর্জন অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি ও শ্রেণীপেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!