প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণ নাটক সন্ত্রাসীর, ঠাঁই হল শ্রীঘরে

দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার আসামী হাসান। এই মামলায় পলাতক তিনি। কিন্তু গ্রেফতার এড়াতে হাসান সাজিয়েছে ‘নাটক’। তার মা ও ভাইকে পাঠিয়েছে থানায়। তাদের অভিযোগ, হাসানকে অপহরণ করে নিয়েছে প্রতিপক্ষ। মা ও ভাইকে থানায় এমন মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করতে ঢুকিয়ে দিয়ে থানার বাইরেই অবস্থান করছিল হাসান।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে থানার বাইরে থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন হাসান। অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে কপাল পুড়লো হাসানের। ঠাঁই হল পুলিশের শ্রীঘরে।

গত ৬ মে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নে মো. ওসমান ও মো. লোকমান নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করে আবদুল্লাহ, হাসান, পারভেজ, তুষার, জাহেদসহ আরও কয়েকজন। তাদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় মামলাও দায়ের হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মামলার পরও তারা থেমে থাকেনি। নিয়মিত ছিনতাই, চাঁদাবাজির পাশাপাশি মামলার বাদী মো. ওসমান ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিল সে৷ হাসানের বিরুদ্ধে ওই পরিবারকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠে।

বৃহস্পতিবার রাতে হাসান তার মা ও ভাইকে সাতকানিয়া থানায় পাঠায়। হাসানকে অপহরণ করেছে প্রতিপক্ষ – এমন অভিযোগ তুলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো চেষ্টা করে তারা।

কিন্তু এ সময় সাতকানিয়া ইসলামী ব্যাংকের পাশের গলিতে অবস্থান করছিল হাসান। ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলে সাতকানিয়া থানার এসআই মো. নজরুল। নজরুল এ সময় হাসানকে ধরে থানায় নিয়ে আসে।

পরে হাসান স্বীকার করে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার মা ও ভাইকে দিয়ে সে অপহরণ নাটক সাজিয়েছে।

এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার এসআই নজরুল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণ নাটক সাজায় হাসান। তার মা ও ভাইকে থানায় ঢুকিয়ে দিয়ে সে বাইরে অবস্থান করছি। বাজালিয়া এলাকায় হামলার ঘটনার মামলায় হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এদিকে শুক্রবার দুপুরে বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মমতাজের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র হাতে হামলা চালাতে যায় হাসান ও তার সহযোগীরা। এ সময় স্থানীয়দের তোপের মুখে তারা পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে সাতকানিয়া পুলিশ ওই ঘটনাও তদন্তে নামে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাসান এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।

রুবেল/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!