প্রতারণা করে টাকা হাতানোই এই ছাত্রলীগ নেতার নেশা

জাইদুল ইসলাম। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। রাজনীতির পাশাপাশি তার আরও পরিচয় আছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় ‘নদী বাংলা নামে মাল্টিপারপাস সমিতি’ নামে একটি সমিতি প্রধান তিনি। আর এই সমিতির নামে তিনি মূলত করে থাকেন প্রতারণা। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় একের পর এক মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে। জেলও খাটেন তিনি বেশ কয়েকবার। তার মধ্যে একটি চেকের মামলার সাজাও হয় তার। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে উঠেছে এই সমিতির নামে প্রায় ৬৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

বুধবার (২১ অক্টোবর) রাতে পতেঙ্গা থানার মাইজপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত জাইদুল ইসলামের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড মাইজ পাড়া এলাকার মো. আবুল কালামের সন্তান।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, দ্বিগুণ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৪ বছর আগে মাইজপাড়া এলাকায় ‘নদী বাংলা নামে মাল্টিপারপাস সমিতি’ গড়ে তুলেন জাইদুল ইসলাম। এতে ওই সমিতির সদস্যের কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নেয় প্রায় ৬৩ লাখ টাকা। আমানত সংগ্রহের বিপরীতে অনেক গ্রাহককে দিয়েছেন তিনি চেক। গ্রাহকের টাকা দিতে না পারায় এসব চেক দিয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। সবশেষ একটি চেকের মামলায় কারাভোগের পর গত ৯ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হন জাইদুল।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ জুন গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে না পারায় অপহরনের নাটক সাজিয়ে অত্মগোপনে চলে যান জাইদুল। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিএমপির পতেঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ওইদিন রাতে পৌনে ১০টার দিকে রয়েল বীচ নামক একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার পুলিশ। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।

সিএমপির পতেঙ্গা থানার ওসি জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে জাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি চেক প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তাকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।’

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!