প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আসামীর ওয়ারেন্ট

প্রতিদিন রিপোর্ট :

জাল ভিসায় বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারনার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামী মো. খায়ের আহম্মদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছে আদালত। আসামী মো. খায়ের আহম্মদ সাতকানিয়া উপজেলার দুরদুরি ১ নং উত্তর চরতির সুইগুরা গ্রামের নুর আহম্মেদের ছেলে।

ashami-khayer-ahmad

 

তিনজনকে আসামী করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতে ৪০৬/৪২২/৫০৬/৩৪ ধারায় অভিযোগটি দায়ের করে মো. আব্দুর রশীদ রাজু। দায়েরকৃত অভিযোগে আদালত এ মামলার অন্যতম ও প্রধান আসামী মো. খায়েরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

 

এ মামলায় অন্য দু আসামী হলেন, কক্সবাজার জেলার উখিয়া হালিয়া পাড়া হাজী জাফর আলমের ছেলে মো. ইসমাইল ও পাঁচলাইশ থানা ৭৬ মুরাদপুর জলিল বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় অবস্থিত জবলে নুর হজ্ব কাফেলা ট্যুরস অ্যন্ড ট্রাভেলস এর প্রোপ্রাইটর মো. শহিদুল আলম।

 

মামলার এজাহারে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি মুহাম্মদ খায়ের আহম্মদ ও মো. ইসমাইলের কু প্ররোচনায় পরে বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে হাটহাজারী ইউনুছ নগর পশ্চিম বাথুয়া মৃত সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে মো. আব্দুর রশীদ রাজু।

 

১০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি সম্পাদন করে তিন লক্ষ টাকার বিমিময়ে পাঁচলাইশ থানা ৭৬ মুরাদপুর জলিল বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় অবস্থিত জবলে নুর হজ্ব কাফেলা ট্যুরস অ্যন্ড ট্রাভেলস থেকে একটি ভিসা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মো. শহিদুল আলম। ভিসাটি জাল বুঝতে পেরে আপত্তি জানালে আসামি মো. ইসমাইল বৈধ ভিসার নামে আরো এক লক্ষ টাকা দাবি করে। গত ৮ মার্চ ইসলামী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার ৮৯২৬ হিসাব নম্বরে এক লক্ষ টাকা জমা দেন রাজু।

 

এরপরও বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় দফায় দফায় অঙ্গকারনামা করে অবশেষে পুনরায় একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভিসা ও কাতার যাওয়ার টিকিট প্রদান করে আসামীরা। যা ছিল অন্যের ভিসার উপর ছবি সংযুক্ত করা। ফলে কাতারে গিয়ে আটক হয় বাদী আব্দুর রশীদ রাজু।

 

পরবর্তীতে রাজু দেশে ফিরে বিষয়টি আসামীদের জানালে তারা নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন রাজু। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচলাইশ থানা ৭৬ মুরাদপুর জলিল বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় অবস্থিত জবলে নুর হজ্ব কাফেলা ট্যুরস অ্যন্ড ট্রাভেলস থেকে এ মামলার আসামী মো. শহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ৭ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার কথা বলে মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পায় শহিদুল।

 

এদিকে মূল আসামী মুহাম্মদ খায়ের আহম্মদ ও মো. ইসমাইলের সাথে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতে গেলে আসামীরা সকল লেনদেনের কথা অস্বীকার করে রাজুকে পুনরায় ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় রাজু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতে ৪০৬/৪২২/৫০৬/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার অনুমতি চাই।

 

এর প্রেক্ষিতে আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ৭৫ ধারায় আসামী মো. খায়ের আহম্মদকে গ্রেফকারের আদেশ দেন।

 

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স।

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!