প্রজন্মের হাত ধরে নতুন বাংলাদেশ আসবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই নতুন বাংলাদেশ আসবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে লড়াই করার প্রতিজ্ঞা ও প্রচেষ্টা রাখতে হবে। দৃষ্টি চট্টগ্রাম একটি সফল সংগঠন। আগামী বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছে। তাই দৃষ্টির সাথে থাকাটা আমাদের দায়িত্ব। গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে বিতর্ক চর্চার ভুমিকা অতুলনীয়। বিতর্ক চর্চার প্রসার আরো বাড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শীঘ্রই বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে জাতীয় পর্যায়ের স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হবে।’

রবি-দৃষ্টি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৯-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর থিয়েটার ইনইস্টটিউট মিলনায়তনে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এটি অনুষ্ঠিত হয়।

দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আয়োজনে আরো বক্তব্য রাখেন বিতর্ক প্রতিযোগিতার আহবায়ক ও কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল তাবরিজ সনেট, দৃষ্টির সহ-সভাপতি বনকুসুম বড়ুয়া নুপুর ও শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ও দৃষ্টির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরফাত।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা) সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিতর্ক করে হয়তো কোন টাকা আসবে না কিন্তু তৈরি হবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব, তৈরি হবে স্বপ্নদ্রষ্টা। শিক্ষার্থীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাফল্যের মাধ্যমে একটু একটু করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ বকুল বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৭ বছর ধরে বিতর্ক নিয়েই কাজ করছে । এর কারণ হলো দৃষ্টি বিশ্বাস করে বিতার্কিকদের মধ্যে আছে স্পৃহা, প্রাণচাঞ্চল্য যেটি স্বপ্নের পরিধিকে বাড়ায়। একজন বিতার্কিক কখনো নিজেকে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মাঝে আবদ্ধ ভাবতে পারেনা। বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি দেশকে এমন এক প্রজন্ম উপহার দেয়ার যারা সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সৎসাহস রাখবে, যারা সৃজনশীল হবে, যারা অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক হবে।’

উল্লেখ্য, এবারের প্রতিযোগিতায় স্কুল বিতর্কের ২৭তম আয়োজনে চট্টগ্রামের ৩২টি স্কুল, ১৬তম বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কে সারা দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ১৭তম কলেজ বিতর্কে ১৬টি কলেজসহ ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মূল কারণ নিয়ে বিতর্কে নামেন ছায়া সংসদের সরকারি দল ও বিরোধী দল।

প্রসংগত, বিতর্কের বিষয় ছিলো, ‘এই সংসদ মনে করে, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা ও সিডিএ’র সমন্বয়হীনতার কারণে চট্টগ্রামের কাংখিত উন্নয়ন নিশ্চিত হচ্ছে না।’ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বনাম চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের মধ্যে। এতে স্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় এবং রানার আপ হয় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের চুড়ান্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় রানার আপ এবং সরকারী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ চ্যাম্পিয়ন ও বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী কলেজ রানার আপ হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবির সিইও মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা) সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সানশাইন গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!