মহিলা কলেজে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক চবি শিক্ষার্থী, মুচলেকায় ছাড়ল পুলিশ

চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়েছে মো. সোহাগ হোসেন নামের এক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও খুলশী থানা পুলিশ বলছে, তাদের হাতে এমন কাউকে তুলে দেওয়া হয়নি।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় ডিগ্রি ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় মহিলা কলেজে। সেখানে ওমর গনি এমএইএস কলেজের শিক্ষার্থীদের হল পড়ে।

পরীক্ষায় ওমর গনি এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী মহিম আজম চৌধুরীর বদলে প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েন সোহাগ। সোহাগ হোসেন নিজেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ থেকে সদ্য স্লাতক পাশ করা বলে দাবি করেন।

মহিম আজম চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীর ওমর গনি এমইএস কলেজের ডিগ্রির শিক্ষার্থী। তিনি ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী নিয়ন্ত্রিত ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতা।

খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল জানান, প্রক্সি দেওয়া ওই যুবককে প্রথমে থানায় নিয়ে আসা হলেও, এ সময় আমাদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি হয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সালমা রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা জানিয়েছেন, মামলা হলে ঝামেলা হবে তাই উনাদের পরামর্শে সাধারণ ডায়রি (জিডি) দায়ের করা হবে। এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে, এক্ষেত্রে জিডিই মামলা হয়ে যাবে।’

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘আমাদের হাতে এমন কাউকে তুলে দেওয়া হয়নি। কলেজের উপাধ্যক্ষ কেন এমন কথা বলছেন, আমি জানি না।’

পরে কল দিয়ে তিনি বলেন, ‘এক শিক্ষক জিডি করতে এসেছে এখন।’

এর আগে ছাত্রলীগ নেতা মহিম আজম চৌধুরীকে এক অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!